
সংবাদ সম্মেলনে এফবিআইয়ের বিশেষ এজেন্ট কেভিন রোজেক। ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (এফবিআই) জানিয়েছে, হত্যার উদ্দেশ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানো হয়েছে।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর গুলি চায় হামলাকারীরা। সন্দেহভাজন হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। একজন সমর্থকও নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলা অ্যাটর্নি রিচার্ড গোলডিঞ্জার।
সংবাদসংস্থা সিএনএন জানায়, সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের বরাতে ট্রাম্পের ওপর হামলার বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছেন এফবিআইয়ের পিটসবার্গ ফিল্ড অফিসের দায়িত্বে থাকা বিশেষ এজেন্ট কেভিন রোজেক।
তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর হামলাকে আমরা 'হত্যা প্রচেষ্টা' বলছি। ওই স্থানটি 'অ্যাকটিভ ক্রাইম সিন' অর্থাৎ এখনো নিরাপদ নয় বলে জানান তিনি।
আরেক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স জানায়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের ডান কানে গুলি লেগেছে। সমাবেশে অংশগ্রহণকারী একজন নিহত এবং দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
এফবিআই এজেন্ট কেভিন রোজেক জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপরাধী খুঁজে বের করতে এবং হামলার পেছনের কারণ জানতে কঠোরভাবে কাজ করছে। এ বিষয়ে জনসাধারণের সাহায্যও চেয়েছেন তিনি। কারো কাছে প্রয়োজনীয় কোনো তথ্য থাকলে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
এ ঘটনা তদন্তে এফবিআই সারাদেশ থেকে তদন্তকারী এজেন্ট, প্রমাণ সংগ্রহের জন্য বিশেষ টিম এবং অন্যান্য কর্মীদের মোতায়েন করেছে বলে জানান তিনি। এছাড়া 'বায়োমেট্রিক নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে' বন্দুকধারীকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
এফবিআই কর্মকর্তা বলেন, বন্দুকধারীর পরিচয় প্রায় নিশ্চিত করতে পেরেছি তবে এই মুহূর্তে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
কোন ধরনের বন্দুক ব্যবহার করা হয়েছে বা কতগুলো গুলি চালানো হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। তদন্ত চলছে।
উল্লেখ্য, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর হামলার পর পরই একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা গেছে, ট্রাম্প মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন। এ সময় হঠাৎ তাঁর কান ঘেঁষে একটি গুলি চলে যায়। সঙ্গে সঙ্গে মঞ্চে বসে পড়েন তিনি। এ সময় তার সমর্থকদের চিৎকার করতে শোনা যায়।
এরপর সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা ট্রাম্পকে দ্রুত একটি গাড়িতে তোলেন। এ সময় ট্রাম্পের কান ও গাল বেয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়। ওই গাড়িতে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।