
পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা। ফাইল ছবি
ছাত্র-জনতার গণবিক্ষোভের মাঝে গত সোমবার (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে আওয়ামী সরকারের পতন হয়। এতে ‘ভারত-সমর্থিত’ সরকারের অবসান হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে পাকিস্তান।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের নতুন যুগ শুরু করার সুযোগ বলেছেন পিএমএল-এন নেতা ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। খবর জিও নিউজের।
খাজা আসিফ বলেন, শেখ হাসিনার ১৫ বছরের মেয়াদে বাংলাদেশে ভারতের প্রভাব ছিল উল্লেখযোগ্য। তার ক্ষমতাচ্যুতির মাধ্যমে বাংলাদেশে একটি ভারত-সমর্থিত সরকারের সমাপ্তি হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে অতীতের উত্তেজনা মিটিয়ে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলার কাজ শুরু করার ওপর জোর দিয়েছেন খাজা আসিফ।
উল্লেখ্য, কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ৩৬ দিনব্যাপী আন্দোলনে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা সংস্কারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এবারের আন্দোলন ছিল দ্বিতীয় দফা আন্দোলন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু প্রথম দফার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা প্রথা বাতিল প্রসঙ্গে পরিপত্র জারি করে সরকার।
দ্বিতীয় দফা আন্দোলন শুরু হয়েছিল চলতি বছরের পয়লা জুলাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা বাতিলের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্রসমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছরের ৫ জুন সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে (নবম থেকে ১৩তম গ্রেড) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন আদালত। এর পরদিন পরিপত্র বাতিলের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।