চীনা ল্যাবে করোনাভাইরাস তৈরি
যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রমাণ চায় ডব্লিউএইচও

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২০, ১২:২৫

নতুন করোনাভাইরাসটি চীনের গবেষণাগারে তৈরি হয়নি বলে নিজেদের যুক্তিতে অটল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
গতকাল সোমবার (৪ মে) সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের 'অনুমাননির্ভর' দাবির সমর্থনে ওয়াশিংটন এমন কোনো প্রমাণ দেয়নি, যা থেকে নিশ্চিত হওয়া যাবে নতুন করোনাভাইরাসটি চীনের এক ল্যাব থেকে উদ্ভূত।
চীনের গবেষণাগারে ভাইরাসটির উৎপত্তি হওয়ার কোনো প্রমাণ থাকলে তা সরবরাহের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরুরি কর্মকাণ্ড বিষয়ক পরিচালক মাইকেল রায়ান ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বলেন, ভাইরাসের উৎসের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আমরা কোনো তথ্য বা সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাইনি। কাজেই আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি অনুমাননির্ভরই রয়ে গেছে।
চীনের উহান শহরের একটি ভাইরোলোজি গবেষণাগার থেকে করোনাভাইরাসের সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারাবাহিকভাবে অভিযোগ করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থারও কড়া সমালোচনা করে আসছেন। এমনকি সংস্থাটিতে অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণাও দিয়েছেন।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ভাইরাসটি প্রাণী থেকে মানুষে ছড়িয়েছিল, গত বছরের শেষের দিকে চীনে যার প্রাদুর্ভাব ঘটে। এটি সম্ভবত উহানের একটি বণ্য প্রাণীর মাংসের বাজার থেকে ছড়িয়েছিল।
এদিকে মার্কিন শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেসের পরিচালক অ্যান্টনি এস ফাউসি সোমবার ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ভাইরাসের প্রকৃতি দেখে মনে হয় না কৃত্রিমভাবে বা ইচ্ছাকৃতভাবে এতে হেরফের করা হয়েছে।
রায়ান বলেন, প্রমাণ-ভিত্তিক যেকোনো সংস্থার মতো ডব্লিউএইচও ভাইরাসটির উৎপত্তি নিয়ে যেকোনো তথ্য পেতে আগ্রহী। ভবিষ্যতে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে তা গুরুত্বপূর্ণ হবে। ফলে সেই তথ্য ও প্রমাণ যদি থেকে থাকে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে কবে ও কোথায় তা দেখানো হবে।
তিনি বলেন, ভাইরাসটির উৎস সম্পর্কে অনুমাননির্ভর তদন্ত করা হয়। তবে এর মোকাবিলা করা আরো বেশি কঠিন। এটি একটি রাজনৈতিক বিষয়। বিজ্ঞান সবকিছুর কেন্দ্রে থাকা প্রয়োজন।
করোনাভাইরাসের উৎস প্রাকৃতিক বলে দেখাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশেষজ্ঞ মারিয়া ভ্যান কেরখোভ সোমবারের ব্রিফিংয়ের সময় জোর দিয়ে বলেন, করোনাভাইরাসের ১৫ হাজার পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স রয়েছে এবং আমরা এমন সব প্রমাণ পেয়েছি যে তা দেখে বুঝেছি ভাইরাসটির উৎস প্রাকৃতিক।