ফিলিস্তিনের গাজার উত্তরাঞ্চলে জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। গত শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাতের এই হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। গতকাল শনিবার (১২ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। 

শনিবার ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, জাবালিয়ার একটি বহুতল অ্যাপার্টম্যান্ট ব্লকে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলা চালায়। হতাহত ছাড়াও ১৪ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তারা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।    

ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী উত্তর গাজায় স্থল হামলা চালাচ্ছে। শনিবার নিহতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উত্তর গাজার বাসিন্দাদের পাশাপাশি জাবালিয়ার নিকটবর্তী বাসিন্দাদেরও গাজার দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তারা। 

উত্তরাঞ্চলের কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কর্মীরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি সেনারা তাদের চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এতে প্রায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৪ হাজারের মতো। হামাস জিম্মি করে ২৪০ থেকে ২৫৩ জনকে।

হামাসের হামলার অজুহাতে ইসরায়েল গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। শনিবার এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪২ হাজার ১৭৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৯৮ হাজার ৩৩৬ ফিলিস্তিনি।

এ ছাড়া ১০ হাজার ফিলিস্তিনি নিখোঁজ রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, নিখোঁজ ব্যক্তিরা ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে। আর মরদেহগুলো তাদের বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে।