ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়ন নিয়ে নীরব থাকায় ইসরায়েলি প্রকাশকদের বয়কট করেছেন বিশ্বের প্রায় এক হাজার লেখক। গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত একটি অঙ্গীকারপত্রেও স্বাক্ষর করেছেন তারা।  

বিবৃতিতে সই করা লেখদের মধ্যে রয়েছেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অ্যানি এরনাক্স, বুকার পুরস্কার বিজয়ী অরুন্ধতী রায়, আইরিশ লেখক ও ফিলিস্তিনিদের প্রতি ইসরায়েলের নীতির দীর্ঘদিনের সমালোচক স্যালি রুনি, পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী ভিয়েত থান নগুয়েন এবং বুকার পুরস্কার স্বীকৃত লেখক মাজা মেনগিস্টের মতো সাহিত্যিক।

অঙ্গীকারপত্রে বলা হয়েছে, আমরা ইসরায়েলি সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করব না, যারা ফিলিস্তিনিদের ওপর নিপীড়নের বিরুদ্ধে নীরব দর্শক হিসেবে কাজ করেছে।

বুকস এগেইনস্ট জেনোসাইড এবং দ্য প্যালেস্টাইন ফেস্টিভ্যাল অব লিটারেচারসহ ছয়টি অ্যাডভোকেসি গ্রুপ লেখকদের এই অঙ্গীকারের আয়োজন করেছিল। তারা ৯৮টি ইসরায়েলি প্রকাশনা পর্যালোচনা করে দেখেছেন, মাত্র একটি 'নভেম্বর বুকস' প্রকাশ্যে বৈষম্য ও বর্ণবাদের বিরোধিতা করে।

আয়োজকরা বলছেন, অনেক ইসরায়েলি প্রকাশক দখলদারত্বকে সমর্থন করে। যেমন ‘মোদান পাবলিশিং’ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য প্রচারণামূলক বই তৈরি করে। ‘বার-ইলান ইউনিভার্সিটি প্রেস’ ইহুদি জাতীয় তহবিলের সাথে অংশীদারত্বে ‘ভূমি নির্মাণ এবং বসতি স্থাপন’ প্রচারের জন্য পুরস্কার প্রদান করে।

এক খোলা চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি অবিচারকে স্বাভাবিক করার ক্ষেত্রে সংস্কৃতিতে একটি অবিচ্ছেদ্য ভূমিকা পালন করেছে প্রকাশক, সম্পাদক ও এজেন্টরা।

এদিকে চিঠির জবাবে ইসরায়েলের পক্ষে যুক্তরাজ্যের আইনজীবীরা বাণিজ্য সংস্থা এবং প্রকাশকদের কাছে একটি পৃথক বিবৃতি জমা দিয়েছেন। সেখানে তারা যুক্তি দিয়েছেন, বয়কটের ডাকটি ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠানগুলোকে একঘরে করে, যা ‘স্পষ্টতই ইসরায়েলিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক’।

তবে প্যালফেস্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ওমর রবার্ট হ্যামিল্টনসহ ইসরায়েলি প্রকাশনা বয়কটের ডাক দেওয়া অ্যাডভোকেসি গ্রুপগুলো বলছে, ইসরায়েল নৈতিকভাবে দেউলিয়া। তাদের প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে যে, ইসরায়েলের সমর্থকদের কিছু বলার নেই।