Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফল জানা যাবে কখন

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৪

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফল জানা যাবে কখন

গত মাসে আগাম ভোট দিতে ভোটারদের লাইন। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) তাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোট দিচ্ছেন। বলা হচ্ছে, দেশটির ইতিহাসে এবারই সবচেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে।  এতে কে জয়ী হবেন সেটি জানতে সময় লাগতে পারে কয়েকদিন। এজন্য ভোটারদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নির্বাচন কর্মকর্তারা। 

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনব্যবস্থায় ভোটাররা সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন না। তাদের ভোটে ৫৩৮ জন সদস্য নির্বাচিত হন। এদের একসঙ্গে বলা হয় ইলেকটোরাল কলেজ। এই ইলেকটোরাল কলেজই প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন।

২০২০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৭ নভেম্বর (শনিবার)যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা করেছিল । অথচ নির্বাচন শেষ হয়েছিল এর আগের মঙ্গলবার। ২০১৬ ও ২০১২ সালে অবশ্য ভোটারদের ফলাফল পেতে তুলনামূলক কম সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

প্রতিটি অঙ্গরাজ্য প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষে ইলেকটোরাল কলেজ ভোট গ্রহণ করে। সাধারণ জনগণের ভোটে ইলেকটর (নির্বাচক) নির্বাচিত হন। যুক্তরাষ্ট্রের বড় অঙ্গরাজ্যগুলোয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি সংখ্যা বেশি। সেখানে ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যাও বেশি।

এবারের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। অন্যদিকে রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাদের মধ্যে অন্তত ২৭০টি গুরুত্বপূর্ণ ইলেকটোরাল ভোট পেতে কঠিন লড়াই হবে। এসব ভোট তাদের প্রেসিডেন্ট হওয়ার নিশ্চয়তা দেবে। তবে এবারের নির্বাচনের লড়াই একেবারে শেষ সময় পর্যন্ত গড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা ভোটের ফলাফল প্রকাশে দেরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন। এ ছাড়া ভোট গণনা নিয়ে আইনি চ্যালেঞ্জের মতো জটিলতাও তৈরি হতে পারে।

নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে প্রায় ৮ কোটি ১০ লাখ ভোটার এরই মধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন।

অঙ্গরাজ্যগুলোর মধ্যে প্রথম ভোট গ্রহণ শেষ হবে ‘ইস্টার্ন টাইম’ সন্ধ্যা ৬টায়। তবে নির্বাচনী লড়াইয়ে দুই প্রার্থীর ভোট সমান হলে বিজয়ী নির্ধারণ করতে কয়েক দিন লেগে যেতে পারে।

২০২০ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা করেছিল ৭ নভেম্বর (শনিবার)। কিন্তু নির্বাচন শেষ হয়েছিল এর আগের মঙ্গলবার।

২০১৬ ও ২০১২ সালে অবশ্য ভোটারদের ফলাফল পেতে তুলনামূলক কম সময় অপেক্ষা করতে হয়েছিল।

ভোট শেষে স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তারা পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু ও ভোট গণনা করবেন। এসব কর্মকর্তাকে বাছাই বা নিয়োগ করা হয়। ভোট গণনার পদ্ধতি একেক জায়গায় একেক রকম।

যুক্তরাষ্ট্রের অনেক অঙ্গরাজ্য ডাকযোগে ও দেশের বাইরে থেকে গৃহীত ভোট গণনার প্রক্রিয়া নিয়ে আইন পরিবর্তন করেছে। যদিও পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনে এমন পরিবর্তন আনা হয়নি। এ দুই দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য দুই দলের জন্য জয়-পরাজয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। অঙ্গরাজ্য দুটিতে ৫ নভেম্বরের আগে ভোট গণনার প্রক্রিয়া শুরু করার নিয়ম নেই। এতে সার্বিকভাবে ভোট গণনা ধীর হতে পারে।

কোনো অঙ্গরাজ্যে ভোট সমান হলে সেখানে ভোট পুনর্গণনার প্রয়োজন হতে পারে।

তবে এ প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিক নয়। অঙ্গরাজ্য পর্যায় থেকে নির্বাচনী ফলাফলের সত্যায়ন করতে হয়। ফলাফল সত্যায়নের এ শেষ সময় ১১ ডিসেম্বর। আর ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সিনেট সভাপতিকে (বর্তমানে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস) প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের ইলেকটোরাল ভোটের সনদ গ্রহণ করতে হবে।

৬ জানুয়ারি কংগ্রেস ভোট গণনা করে ও ফলাফল নিশ্চিত করে। ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্টের অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনে কংগ্রেসের সত্যায়ন একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, এখন নির্বাচনী ফলাফলের ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতার ঝুঁকি বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, ২০২২ সালের (মধ্যবর্তী) নির্বাচনে ফলাফল দেরিতে সত্যায়নের পক্ষে মত দিয়েছিলেন অন্তত ২২ কাউন্টির নির্বাচনী কর্মকর্তারা, যা ২০২০ সালের (প্রেসিডেন্ট) নির্বাচনের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি।

ওয়াশিংটনের ‘সিটিজেনস ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিকস (সিআরইডব্লিউ)’ নামের একটি সংগঠন বলেছে, সেবার অন্তত ৩৫ জন নির্বাচনী কর্মকর্তা ফলাফল সত্যায়ন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন এবং সম্ভবত পুনরায় নির্বাচন চাইছিলেন। এবার তারা একই কাজ করতে পারেন।

সংগঠনটি সতর্ক করে বলেছে, সফল প্রতিবন্ধকতার কারণে অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ভোটের ফলাফল সত্যায়নের তারিখ বদলে যেতে পারে।


Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫