ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান বাংলাদেশসহ ৫২ দেশের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৪১

ইসরায়েলে কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের দাবিতে মিছিল। ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশসহ জাতিসংঘের ৫২টি সদস্য দেশ ইসরাইলের কাছে অবিলম্বে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে। এছাড়া সংগঠন হিসেবে আরব লীগ ও অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনও (ওআইসি) এ সংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেছে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সহিংসতা এবং ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগের বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ইসরায়েলে সামরিক রপ্তানি স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে দেশগুলো।
আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাক্ষরকারী দেশগুলো হলো তুরস্ক, ইরান, ফিলিস্তিন, বাহরাইন, বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), বলিভিয়া, ব্রাজিল, ব্রুনাই, বুরকিনা ফাসো, আলজেরিয়া, জিবুতি, চীন, ইন্দোনেশিয়া, মরক্কো, গাম্বিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইরাক, কাতার, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, কলম্বিয়া, কমোরোস, কুয়েত, কিউবা, লিবিয়া, লেবানন, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, মিশর, মৌরিতানিয়া, নামিবিয়া, নাইজেরিয়া, নিকারাগুয়া, নরওয়ে, পাকিস্তান, রাশিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট এবং গ্রেনাডাইনস, সাও টোমে এবং প্রিন্সিপ, সেনেগাল, সোমালিয়া, সুদান, সৌদি আরব, চিলি, তিউনিসিয়া, ওমান, জর্ডান , ভেনিজুয়েলা, ভিয়েতনাম, ইয়েমেন এবং জিম্বাবুয়ে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাক্ষরকারী দেশগুলো গাজা এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি অঞ্চলে মানবিক সংকটের বিষয়ে তাদের ক্রমবর্ধমান শঙ্কা প্রকাশ করেছে। এছাড়া চিঠিতে অস্ত্রের প্রবাহ রোধ করার জন্য আন্তর্জাতিক চাপের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে যা সম্ভাব্য সংঘর্ষকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান অবশ্য আগে থেকে নাকচ করে আসছে ইসরাইল। এমনকি জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে পর্যন্ত নিষিদ্ধ করেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। তাই এটা সহজেয় অনুমেয়, অস্ত্র বিক্রি বন্ধে ৫২ দেশের এই উদ্যোগে ইসরাইলের সামরিক পদক্ষেপের কোনো হেরফের হবে না। মূলত ইসরাইল অস্ত্র বিক্রির এই আহ্বানটি প্রতীকী।
তবে এই পদক্ষেপের কারণে কিছু দেশ ইসরাইলের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে প্রভাবিত করতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, কিছু দেশ ইসরাইলের সাথে তাদের সামরিক সহযোগিতা পুনর্বিবেচনা করতে পার। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় মিত্রদের মতো বড় শক্তিগুলো তাদের নীতিতে কোনও পরিবর্তন আনবে বলে মনে হয় না।