সিরিয়ার আলেপ্পো শহরের অর্ধেক বিদ্রোহীদের দখলে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১০

আলেপ্পো-দামেস্ক মহাসড়কের দখল নিয়েছে বিদ্রোহীরা। ছবি: সংগৃহীত
সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর অর্ধেক দখল করে নিয়েছে। আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। সংগঠনটি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করে আসছে।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের কর্মকর্তা রামি আবদুল রহমান বলেন, আলেপ্পো শহরের অর্ধেকই এখন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) ও এর মিত্র গোষ্ঠীগুলোর নিয়ন্ত্রণে। তিনি আরও বলেন, কোনো ধরনের লড়াই এবং একটি গুলিও ছোড়া হয়নি। সরকারি বাহিনী পিছু হটেছে।
তিনটি সামরিক সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, আলেপ্পো বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং শনিবারের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরোধী বিদ্রোহীরা শহরের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছে গেছে।
এদিকে সিরিয়ার সেনাবাহিনী আলেপ্পোতে আসা-যাওয়ার সব প্রধান সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে। সিরিয়ার সেনাবাহিনীর তিনটি সূত্র রয়টার্সকে এ কথা জানিয়েছে। আলেপ্পোর আশপাশের এলাকাগুলো থেকে নিরাপদে সেনা প্রত্যাহারের কথাও বলা হয়েছে। বিদ্রোহীরা এসব এলাকা দ্রুত দখলে নিচ্ছে।
গত বুধবার থেকে এইচটিএসের নেতৃত্বে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো আকস্মিক হামলা চালিয়ে সরকারনিয়ন্ত্রিত ছোট শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকে এবং প্রায় এক দশক পর আলেপ্পোয় পৌঁছে যায়। ২০১৬ সালে বিদ্রোহীদের কাছ থেকে এই উত্তরাঞ্চলীয় শহরটি দখলে নিয়েছিল আসাদ ও তাঁর মিত্র রাশিয়া, ইরান ও আঞ্চলিক শিয়া মিলিশিয়ারা।
জইশ আল-ইজ্জা বিদ্রোহী ব্রিগেডের কমান্ডার মুস্তাফা আবদুল জাবের বলেন, সীমান্তবর্তী আলেপ্পো প্রদেশে ইরান-সমর্থিত জনবলের স্বল্পতা থাকায় তাঁরা দ্রুত অগ্রসর হতে পেরেছেন।
ফিলিস্তিনের গাজায় শুরু হওয়া যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের আরও কিছু এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ইসরায়েলের একের পর এক হামলায় ইরানের মিত্ররা ধরাশায়ী হয়।
এদিকে বিদ্রোহীদের ঠেকাতে দামেস্ককে অতিরিক্ত সামরিক সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আসাদের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র রাশিয়া। দুটি সামরিক সূত্র এ কথা জানিয়েছে। নতুন সামরিক সরঞ্জাম ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিরিয়ায় পৌঁছে যাবে।
সিরিয়ায় ২০১১ সালে গণতন্ত্রের দাবিতে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে সরকার দমন-পীড়ন চালালে তা গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এর পর থেকে এই লড়াইয়ে পাঁচ লাখের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।