দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক শাসন জারি ঘিরে আজ শনিবার (৭ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অভিশংসন করতে দেশটির পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দল পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) আইন-প্রণেতারা ভোট বয়কট করেছেন। ফলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার হাত থেকে এ যাত্রায় বেঁচে গেলেন ইউন। 

গত মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে হঠাৎ করেই সামরিক আইন জারি করেন ইউন। তার এই সিদ্ধান্ত বিরোধীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়ে। বিক্ষোভের মুখে সামরিক আইন বাতিল করতে বাধ্য হন ইউন। কিন্তু এরপর তার বিরুদ্ধে অভিশংসনের দাবি ওঠে। পদত্যাগের দাবিতে শুরু হয় বিক্ষোভ।

সামরিক আইন জারির ঘটনায় শনিবার (৭ ডিসেম্বর) জাতির কাছে ক্ষমা চান ইউন। টেলিভিশনে দেয়া এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং সামরিক আইন জারির ঘটনায় আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। দেশে সামরিক আইন জারির মতো এমন ঘটনা আর কখনও হবে না।’

ক্ষমা চাওয়ার পরও এদিন পার্লামেন্টে অভিশংসন ভোটের আয়োজন করা হয়। তবে ইউনের দলের আইন-প্রণেতারা ভোট বয়কট করেন। রয়টার্সের প্রতিবেদন মতে, প্রেসিডেন্টের অভিশংসনের জন্য ২০০ আইন-প্রণেতার ভোটের প্রয়োজন। তবে ভোট পড়েছে মাত্র ১৯৫টি। ফলে অভিশংসন প্রস্তাব বাতিল হয়ে যায়।

ভোটাভুটির পর স্পিকার উ ওন শিক বলেন, ‘আজ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে এখানে যে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে তা পুরো জাতি দেখছে। বিশ্ব দেখছে। তবে এটা দুর্ভাগ্যজনক যে পর্যাপ্ত আইন প্রণেতা ভোটে অংশগ্রহণ করেননি।’

তবে ইউনকে উৎখাতে এখনও আশা ছাড়েননি বিরোধীরা। প্রধান বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি বলেছেন, তারা আবারও চেষ্টা করবেন। এদিকে ইউনের দল বলেছে, তারা সংকট সমাধানের জন্য ‘আরও সুশৃঙ্খল, দায়িত্বশীল’ উপায় খুঁজে বের করবে।