-67762f1746497.jpg)
প্রতীকী ছবি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে জেন-জি প্রজন্মের তরুণরা। যাদের জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত হয়েছিল। হাসিনার পতনের পর দেশে বেশ জনপ্রিয় শব্দ হয়ে জেন-জি শব্দটি। যার পূর্ণরূপ হলো জেনারেশন-জেড। এরপর আসে জেন-আলফা।
নতুন একটি বছর শুরু হওয়ার সাথে সাথে শুরু হলো নতুন একটি প্রজন্ম। ২০২৫ সালে জন্ম নেয়া প্রতিটি শিশু হবে জেনারেশন-বিটা বা জেন-বিটা। জেন-বিটার এই পর্যায় চলবে ২০৩৯ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ আগামী ১৫ বছর ধরে যেসব শিশু জন্মাবে, তারাই জেন-বিটা নামে পরিচিতি পাবে।
তবে ২০২৪ সাল বিদায়ের মাধ্যমে শেষ হয়েছে জেন-আলফা যুগের। এটির সময়কাল ছিল মাত্র ১২ বছর।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, জেন- বিটার সময়কালে যারা জন্ম নেবে তাদের অনেকে বাইশ শতক দেখবে। এছাড়া তারা প্রত্যক্ষ করবে বিস্তৃত এবং নতুন নতুন প্রযুক্তির বিকাশ। সঙ্গে বিশ্বে জলবায়ুর যে পরিবর্তন ঘটছে, সেটি তাদের সময় আরও পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।
এছাড়া এই প্রজন্মটি জেন-আলফার পর দ্বিতীয় প্রজন্ম যাদের সবাই একুশ শতকে জন্ম নিতে যাচ্ছে।
সামাজিক বিশ্লেষক, জনসংখ্যাবিদ ও অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাকক্রিন্ডেল বলেছেন, ২০৩৫ সালের মধ্যে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১৬ শতাংশ হবে এই জেন-বিটার মানুষ।
তিনি আরও বলেছেন, জেন-বিটা প্রজন্ম বিশ্বের জনসংখ্যায়ও ব্যাপক পরিবর্তন দেখবে। কারণ পৃথিবীতে এ মুহূর্তে জন্মহার কমে গেছে। অপরদিকে বেড়েছে আয়ুস্কাল। অর্থাৎ তাদের সময় বিশ্ব এতটা জনবহুল থাকবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।