লস অ্যাঞ্জেলেস দাবানল: বাসিন্দাদের আরও ১ সপ্তাহ দূরে থাকার নির্দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:৪৭

লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলে পুড়ে যাওয়া বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ছবি: সংগৃহীত
স্মরণকালের ভয়াবহ দাবানলে পুড়ে ছাই হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের বাণিজ্যিক শহর লস অ্যাঞ্জেলেসের বেশির ভাগ এলাকা। এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ঝুঁকি কাটেনি বাসিন্দাদের। স্থানীয় কর্মকর্তারা তাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো থেকে দূরে অবস্থান করার নির্দেশ জারি করেছে।
কেননা আগুনে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন পুড়ে যাওয়ায় বেশ ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। এছাড়া আগুনে পুড়ে বিষাক্ত যে বর্জ্য সৃষ্টি হয়েছে তা শরীরের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন কর্মকর্তারা।
তাই বাসিন্দাদের কমপক্ষে আরও এক সপ্তাহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তারা। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এতে বলা হয়, পাহাড়ি অঞ্চলে আগুন লাগায় ভূমিধসের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে তা সমতলে নেমে আসতে পারে বলে সতর্ক করেছে স্থানীয় প্রশাসন। যার ফলে ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর স্থানীয় বাসিন্দাদের পরিস্থিতি এখন আরও নাজুক হয়ে পড়েছে।
টানা ১০ দিন দাবানলের আগুনে পুড়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসের হাজার হাজার একর জমি। এতে পুড়ে ছাই হয়েছে মানুষের ঘরবাড়িসহ বিলাসী পণ্য।
হলিউড তারকাদের বিলাসী গাড়িগুলো চোখের সামনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে। প্রবল শুষ্ক বাতাসের ফলে দাবানলের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেয়েছে দমকল বাহিনীর কর্মীরা। শেষ পর্যন্ত আগুন নেভাতে কারাবন্দিদেরও যুক্ত করেছে তারা।
এছাড়া নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতিরিক্ত করের হুমকিতে থাকা কানাডা ও মেক্সিকো আগুন নেভানোর কাজে সহায়তা করেছে। এখন বাতাসের প্রকোপ হ্রাস পেলেও আগামী কয়েকদিন তা স্থায়ী হবে বলে সতর্ক করেছে স্থানীয় জাতীয় আবহাওয়া পরিষেবা দপ্তর।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে, আগামী রবিবার নাগাদ পুনরায় বাতাসের প্রকোপ বাড়তে পারে। এমন পরিস্থিতিতে ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হওয়া লোকজন তাদের ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদের কাছে আসতে চাইছে।
তবে কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী এক সপ্তাহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে প্রবেশ করা তাদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। প্রসঙ্গত, লস অ্যাঞ্জেলেসে দাবানলের ঘটনা নতুন নয়। তবে এবার দাবানলের আগুন যেভাবে দানবীয় আকার ধারণ করেছে তা ইতিহাসের সেরা বলে অভিহিত করেছে স্থানীয় কর্মকর্তারা। এতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন।