
ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। ফাইল ছবি
দীর্ঘদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগতে থাকা ৮৮ বছর বয়সী ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার ভ্যাটিকানের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, পোপ গতকালের তুলনায় আজ আরও অসুস্থ। তিনি বর্তমানে উচ্চমাত্রার অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন এবং তার সুস্থতার বিষয়ে এখনো নিশ্চিত কিছু বলা যাচ্ছে না।
ভ্যাটিকান আরও জানিয়েছে, তবে তার জ্ঞান রয়েছে। তিনি আর্মচেয়ারেই দিনটি কাটিয়েছেন। তার রক্তের প্ল্যাটিলেটও কমে গেছে। শরীরের তাই রক্ত দিতে হয়েছে। অবস্থার খানিকটা অবনতিও বড় বিপদের কারণ হতে পারে।
ভ্যাটিকান বলছে, ‘তিনি পোপ, কিন্তু একজন মানুষও।’
বেশ কয়েকদিন শ্বাসকষ্টে সমস্যা অনুভব করায় পোপ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত জেমেলি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে ডাক্তাররা নিশ্চিত করেন, তার দুই ফুসফুসই নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত।
এ ছাড়া ২১ বছর বয়সে এক অস্ত্রোপচারের সময় ফুসফুসের খানিকটা অংশ কেটে ফেলতে হয়। এ কারণে তার ফুসফুসে সংক্রমণের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি।
পোপ ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষকে তার স্বাস্থ্যের অবস্থার বিষয়ে খোলামেলা কথা বলতে বলেছেন। এ কারণেই ভ্যাটিকান প্রতিদিন বিবৃতি প্রকাশ করতে শুরু করেছে।
যদিও সবশেষ এই খবর বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিকদের উদ্বিগ্ন করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তার জন্য প্রার্থনা করার বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ ছাড়া শুভাকাঙ্খীরা জেমেলি হাসপাতালের বাইরে পোপের জন্য ফুল, মোমবাতি ও চিঠি রেখে যাচ্ছেন। তবে ভ্যাটিক্যানের বাইরের অবস্থার এখনও কোনো পরিবর্তন হয়নি। কোন ভিড় জমেনি।
কিন্ত ভ্যাটিকান স্কয়ারের পাশ দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতকারীরা ঠিকই পোপের খোজ খবর রাখছেন।
একজন ইতালীয় ব্যক্তি বিবিসিকে বলেছেন, ‘আমরা পোপের সবশেষ অবস্থার বিষয়ে জেনেছি, আমরা তাকে নিয়ে চিন্তিত। পোপের প্রতি আমাদের ভালোবাসা গভীর।’
রোমান ক্যাথলিক গির্জার নেতা হিসেবে ১২ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন এই আর্জেন্টাইন পোপ। এর মধ্যে কয়েকবারই তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের মার্চে ব্রঙ্কাইটিসে আক্রান্ত হন তিনি। সে সময় তিন রাত তাকে হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল।