ইসরায়েলি কারাগারে ৫৯ ফিলিস্তিনির মৃত্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫২

ইসরায়েলি কারাগারের সামনের দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে ৫৯ ফিলিস্তিনি বন্দি মারা গেছেন।
‘প্যালেস্টেনিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটি’ নামের বন্দিবিষয়ক গ্রুপের দেওয়া বিবৃতির বরাতে এমনটাই জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
গত মঙ্গলবার প্রকাশিত সেই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মারা যাওয়া বন্দিদের মধ্যে ৩৮ জন গাজা উপত্যকার বাসিন্দা। তবে এর মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে কিনা- তা জানানো হয়নি।
গ্রুপটির মতে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ বন্দি মৃত্যুর বিষয়টি গোপন করার চেষ্টা করছে।
এর আগে গত সোমবার ‘দ্য কমিশন অব ডিটেইনিস’ নামের একটি সংগঠন ইসরায়েলি হেফাজতে ফিলিস্তিনি বন্দি মুসাব হানি হানিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছিল।
গাজায় লড়াইয়ের মধ্যেই গত বছরের ৩ মার্চ অধিকৃত পশ্চিম তীরের খান ইউনিস থেকে ৩৫ বছর বয়সী মুসাব হানিয়াকে আটক করা হয়। তার পরিবার বলছে, গ্রেপ্তারের সময় তিনি সুস্থ ছিলেন।
ফিলিস্তিনের একাধিক সূত্রের বরাতে আনাদোলু এজেন্সি বলছে, ১৯৬৭ সালে পশ্চিম তীর ও গাজায় ইসরায়েলি দখলদারিত্ব শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ২৬৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দি ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে মারা গেছেন।
তবে ২০২৪ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ফিলিস্তিনি বন্দী মারা যাওয়ার হার আগের তুলনায় অনেক বেশি। এখনও ১০ হাজারের অনেক বেশি ফিলিস্তিনি বন্দী ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে আটক রয়েছে।
গাজায় গত ১৯ জানুয়ারি থেকে যুদ্ধবিরতি চলছে। এ সংঘাতে ইসরায়েলি হামলায় ৪৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এ সময় গাজা উপত্যকা থেকে বহু ফিলিস্তিনিকেও আটক করা হয়েছে। তাদের সংখ্যার বিষয়ে কিছু জানায়নি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ২০২৪ সালের নভেম্বরে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিইয়ামিন নেতানিয়াহু ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।