সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে শত শত আসাদপন্থিকে হত্যার অভিযোগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৪

লাতাকিয়ার একটি চেকপয়েন্টে পাহারারত সিরীয় সেনা। সংগৃহীত
সিরিয়ার নিরাপত্তা বাহিনী আসাদপন্থি সংখ্যালঘু আলাওয়াইত গোষ্ঠীর শত শত বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়া সংক্রান্ত মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের (এসওএইচআর) বরাতে রবিবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিবিসি। তবে বিবিসির পক্ষে এর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
গত শুক্র ও শনিবার দেশটির উপকূলীয় অঞ্চলের আলাওয়াইত অধ্যুষিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘাত হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার বিষয়টি শোনা যাচ্ছে। বিদ্রোহীদের হাতে আসাদের পতনের পর এটিই সবচেয়ে বড় সংঘাতের ঘটনা।
এসওএইচআর বলছে, নিহতদের মধ্যে ৭৪৫ জন বেসামরিক ব্যক্তিও রয়েছেন। যাদেরকে মোট ৩০টি ঘটনায় হত্যা করা হয়েছে। তবে সংঘাতের কারণে তারা নিহত হয়েছেন, নাকি পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে- তা নিশ্চিত করেনি মানবাধিকার সংগঠনটি। বিবিসিও স্বাধীনভাবে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
এ ছাড়া আসাদপন্থি যোদ্ধাও নিহত হয়েছেন ১৪৮ জন এবং সরকারি বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন ১২৫ জন।
আলাওয়াইত গোষ্ঠীর শত শত মানুষ এরই মধ্যে তাদের বাসস্থান ত্যাগ করে লাতাকিয়ায় অবস্থিত রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছে। রয়টার্সের ভিডিওতে দেখা গেছে, এ সময় মানুষ রাশিয়ার সুরক্ষা চেয়ে স্লোগান দিচ্ছিল।
এই গোষ্ঠীটি দেশটির সাবেক স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের সমর্থক ছিল। আসাদ জন্মেছিলেনও এই গোষ্ঠীটিতে। তারা মূলত শিয়া। তবে সিরিয়ার মোট জনসংখ্যার বেশিরভাগ সুন্নি, আলাওয়াইতরা কেবল ১০ শতাংশ।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা-কে বলেছেন, সরকার বিশ্বাসঘাতকদের হামলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
তবে স্থানীয় একজন কর্মী বিবিসিকে জানিয়েছেন, আলাওয়াইত গোষ্ঠীর মধ্যে এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। বহু পরিবার প্রতিবেশী দেশ লেবাননে পালিয়ে গেছে।
জাতিসংঘের সিরিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত গেইর পেডারসেন বলেছেন, তিনি নাগরিক হতাহতের খুবই উদ্বেগজনক প্রতিবেদন পেয়ে গভীরভাবে শঙ্কিত। তিনি সব পক্ষকে এমন কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন, যা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে পারে এবং একটি গ্রহণযোগ্য ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক পরিবর্তনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।