Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

ট্রাম্পের ‘হুমকি’র পর যৌথ মহড়া করছে ইরান, চীন ও রাশিয়া

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ২০:০৭

ট্রাম্পের ‘হুমকি’র পর যৌথ মহড়া করছে ইরান, চীন ও রাশিয়া

ওমান উপসাগরে ত্রিদেশীয় যৌথ মহড়ায় অংশ নেওয়া ইরানের যুদ্ধজাহাজ। ছবি: সংগৃহীত

পরমাণু অস্ত্র প্রকল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির পর এবার চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়া শুরু করেছে ইরান।


মঙ্গলবার থেকে ইরানের চাবাহার বন্দরের কাছে এই মহড়া শুরু হয়েছে। এটি তিন দেশের পঞ্চম যৌথ মহড়া।


কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।


চীনের সিজিটিএন নিউজ জানিয়েছে, মেরিন সিকিউরিটি বেল্ট-২০২৫ নামে পরিচিত এই মহড়ার উদ্দেশ্য ‘অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর নৌ বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা’ বাড়ানো। নৌ মহড়ায় ‘সামুদ্রিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করা, ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণ এবং যৌথ অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।


রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, দুই দিন ধরে, জাহাজের ক্রুরা দিন-রাত বড়-ক্যালিবার মেশিনগান এবং ছোট অস্ত্র থেকে লক্ষ্যবস্তুতে গুলি চালাচ্ছে। মহড়ায় চালকবিহীন নৌকা এবং চালকবিহীন বিমান যানের রেপ্লিকা রয়েছে।


ইরানের প্রেস টিভি জানিয়েছে, আজারবাইজান, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওমান, কাজাখস্তান, পাকিস্তান, কাতার, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী মহড়া পর্যবেক্ষণ করছে।


সম্প্রতি পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি চুক্তির জন্য আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে চিঠি দিয়েছেন ট্রাম্প। ইরানের সামনে দুইটি পথ খোলা রেখেছেন তিনি। পরমাণু প্রযুক্তি ইস্যুতে হয় ইরানকে একটি চুক্তিতে আসতে হবে, নয়ত সামরিক অভিযানেই যুক্তরাষ্ট্র কার্য সিদ্ধি করবে।


ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে এই বিষয়ে ট্রাম্প জানিয়েছেন, যদি চুক্তি না হয়- এর বিকল্প হবে সামরিক অভিযান। একই সঙ্গে তিনি এও দাবি করেছেন, পারমাণবিক চুক্তি হলে তা ইরানের জন্য বড় বিজয় হবে। আর তেহরান তার চিঠির প্রত্যাশাতেই ছিল।


চীন এবং রাশিয়া সাধারণত মধ্যপ্রাচ্যে জলসীমায় টহল দেয় না। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই অঞ্চলের জলপথগুলোতে বিভিন্ন দেশের সামরিক উপস্থিতি বেড়েছে।


২০২৩ সালের শেষের দিকে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সাথে সম্পর্কিত জাহাজগুলোতে আক্রমণ শুরু করে। তাদের মতে, গাজার মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে এই হামলা করা হচ্ছিল।


জানুয়ারিতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর হুথিরা তাদের আক্রমণ বন্ধ করে দেয়। তবে গাজার ওপর ইসরায়েলের নতুন অবরোধ প্রত্যাহার না করলে তারা আবার সামরিক অভিযান শুরু করার হুমকি দিয়েছে। এই অবরোধের আওতায় ইসরায়েল ১০ দিন ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে।


যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলোও লোহিত সাগরে তাদের উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে হুথিদের আক্রমণ মোকাবিলায় ১০-জাতির একটি বাহিনী ঘোষণা করা হয়েছে। বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর একটি নৌবহরও রয়েছে।


 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫