গাজার ক্যান্সার হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দিল ইসরায়েল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৭

সাত কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়েছিল। সংগৃহীত
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার একমাত্র ক্যান্সার হাসপাতালটি ধ্বংস করে দিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। ‘তার্কিশ প্যালেস্টেনিয়ান ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল’ নামের চিকিৎসা ও চিকিৎসা শিক্ষাকেন্দ্রটি তুরস্কের সহযোগিতা ও সমন্বয় সংস্থা টিআইকেএর সহায়তায় নির্মাণ করা হয়েছিল।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অনলাইনে পোস্ট করা এক ফুটেজে দেখা গেছে- শুক্রবার ইসরায়েলি সেনারা বিস্ফোরক দিয়ে হাসপাতালটি ভেঙে ফেলছে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ পরে ঘটনাটি নিশ্চিত করেছে। তারা দাবি করেছে, হাসপাতালের ভবন হামাস ব্যবহার করত। যদিও এর সপক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি তারা।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাসপাতাল ভেঙে ফেলার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে। আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতিতে মন্ত্রণালয় বলেছে, “গাজার বেসামরিক নাগরিকদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী একটি হাসপাতালকে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা- গাজাকে বসবাসের অনুপযুক্ত করা এবং ফিলিস্তিনি জনগণকে বাস্তুচ্যুত করতে বাধ্য করার ইসরায়েলি নীতিরই অংশ।”
এই হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ ২০১১ সালে শুরু হয় এবং শেষ হয় ২০১৭ সালে। এতে ব্যয় হয় ৭ কোটি ডলার। এটিকে গাজার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা সুবিধাকেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করা হতো। যার অভ্যন্তরীণ আয়তন ছিল ৩৩ হাজার ৪০০ বর্গমিটার।
একই সঙ্গে এটি ছিল ক্যান্সার চিকিৎসা সুবিধাযুক্ত গাজার একমাত্র চিকিৎসাকেন্দ্র। বছরে ৩০ হাজারের বেশি রোগীর চিকিৎসা দেওয়ার সক্ষমতা ছিল হাসপাতালটির।
এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হাসপাতাল ভবনের তৃতীয় তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ ছাড়া ইসরায়েলি অবরোধের কারণে সে সময় গাজার হাসপাতালগুলোতে তীব্র জ্বালানি সংকট দেখা দেয়। অন্যান্য অনেক হাসপাতালের মতো এটির কার্যক্রমও একই বছর নভেম্বরে বন্ধ হয়ে যায়। সে সময় চিকিৎসার অভাবে ৪ জন রোগী মারা যায়।
এর পরের বছর, অর্থ্যাৎ ২০২৪ সালের মে মাসে ধারণ করা এক স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা যায়, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ হাসপাতালটিকে সামরিক ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে।