মার্কিন কমিশনের প্রতিবেদনকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বলল ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৭ মার্চ ২০২৫, ১২:০৮

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন ইউএসসিআইআরএফ। ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন ইউএসসিআইআরএফকে আন্তর্জাতিকভাবে ‘উদ্বেগজনক সংস্থা’ হিসেবে ঘোষণা করা উচিত বলে কঠোর বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
নয়াদিল্লি জানায়, মার্কিন এই ফেডারেল কমিশনটি বারবার ‘পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মূল্যায়ন’ প্রকাশ করছে এবং বাস্তবতাকে ‘ভুলভাবে উপস্থাপন’ করছে।
নয়াদিল্লির এই প্রতিক্রিয়া আসে সোমবার, ইউএসসিআইআরএফের বার্ষিক ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিবেদন প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা পর।
মার্কিন ওই কমিশনের প্রতিবেদনে দাবি করা হয় যে, ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ক্রমাগত খারাপ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে।
এছাড়া, ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)-এর বিরুদ্ধে বিদেশে 'খালিস্তানি' বিচ্ছিন্নতাবাদী ও উগ্রপন্থীদের হত্যা ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সংস্থাটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করা হয়।
“আমরা ইউএসসিআইআরএফের ২০২৫ সালে প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদনটি দেখেছি, যা আবারও পক্ষপাতদুষ্ট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মূল্যায়ন প্রকাশের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে,” জানিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ধরনের ‘অ্যাজেন্ডা-ভিত্তিক’ দাবির কারণে মার্কিন ফেডারেল সংস্থাটির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
পরোক্ষভাবে ইউএসসিআইআরএফের প্রতিবেদনকে ভুয়া বলে অভিহিত করে ভারত প্রশ্ন তুলেছে, “আদৌ কি এই সংস্থা তাদের কাজ ও ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে আন্তরিক?”
“ইউএসসিআইআরএফ বারবার বিচ্ছিন্ন ঘটনা ভুলভাবে উপস্থাপন করে এবং ভারতের বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করে। এটি প্রকৃতপক্ষে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে বরং একটি সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করছে,” বলেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মার্কিন ধর্মীয় স্বাধীনতা সংস্থার প্রতিবেদনের বাস্তবতা থেকে বিচ্যুত হওয়ার অভিযোগ তুলে নয়াদিল্লি জানিয়েছে যে, তারা এই সংস্থার কাছ থেকে সত্যনিষ্ঠ মূল্যায়নের আশা করে না।
“ভারতে ১.৪ বিলিয়ন মানুষ বাস করে, যারা পৃথিবীর সমস্ত ধর্মের অনুসারী। কিন্তু আমরা আশা করি না যে ইউএসসিআইআরএফ ভারতের বহুমাত্রিক কাঠামোর বাস্তবতা বুঝতে চেষ্টা করবে বা আমাদের বৈচিত্র্যময় সম্প্রদায়গুলোর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের স্বীকৃতি দেবে,” জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।