
ব্যাংককে ধসে পড়েছে বহুতল ভবন। ছবি: সংগৃহীত
সাত দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্পে মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছেন দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। এখনো অনেকে ধ্বংসস্তুপের নিচে আটকা পড়ায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
স্মরণকালের ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের ফলে মিয়ানমারের সাগাইং, ইস্টার শান, ম্যান্ডালে, মাগওয়ে, বাগো রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে জান্তা সরকার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা চেয়েছে দেশটি।
আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে এমন আশঙ্কায় গতকাল বহু মানুষ খোলা আকাশের নিচে রাত কাটান। তাদের কেউ বাড়ি ফেরার সাহস পাচ্ছেন না। সবার মধ্যে ভূমিকম্প আতঙ্ক তাড়া করছে।
জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইংয়ের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১০০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৭৬ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
ভূমিকম্পে মিয়ানমারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর মান্দালয়ের ঐতিহাসিক অনেক ভবন মাটিতে মিশে গেছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে।
মান্দালয়ের একজন উদ্ধারকর্মী বার্মিজ সার্ভিসকে জানান, মিয়ানমারের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের ‘অধিকাংশ ভবন ধসে পড়েছে। উদ্ধার কাজ শুরু করার সময় মান্দালয়ের দৃশ্য ছিল ভয়াবহ।
এদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির একটি ৩৭ সদস্যের রেসকিউ মেডিকেল টিম মিয়ানমারকে সহায়তার উদ্দেশ্যে অনুসন্ধান অভিযান চালাতে যাচ্ছে।
থাইল্যান্ডেও সাতজনের মৃত্যু
মিয়ানমারের এই ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডেও। সেখানে সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। সেখানেও হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।