ইরানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যে দ্বিতীয় মার্কিন বিমানবাহী রণতরী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪০

ইউএসএস কার্ল ভিনসন
পরমাণু চুক্তির ইস্যুতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের উদ্দেশে নতুন একটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরী রওনা দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের বরাতে বুধবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ইউএসএস কার্ল ভিনসন নামের বিমানবাহী রণতরীটি মধ্যপ্রাচ্যে পূর্বে মোতায়েন থাকা ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যানের সঙ্গে যোগ দেবে।
পেন্টাগন আরও জানিয়েছে, বিমানবাহী রণতরীর পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে থাকা মার্কিন বিমান ঘাঁটিগুলোতে বাড়তি বিমানও যুক্ত করা হয়েছে।
কিছু অসমর্থিত সূত্র বলছে, সম্প্রতি কাতারে অবস্থানরত মার্কিন ঘাঁটিতে অনেক কার্গো বিমান অবতরণ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলোতে বোমা ও সামরিক সরঞ্জাম আনা হচ্ছে।
ইরানের দিকে ইঙ্গিত করে পেন্টাগন বলেছে, “যুক্তরাষ্ট্র ও তার অংশীদাররা আঞ্চলিক নিরাপত্তার বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনো রাষ্ট্র বা কোনো গোষ্ঠী যদি এই অঞ্চলের সংঘাত বৃদ্ধি করার চেষ্টা করে, তবে সেন্টকম (মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কমান্ড) তা প্রতিহত করতে প্রস্তুত।”
যুক্তরাষ্ট্র এমন সময় মধ্যপ্রাচ্যে তার সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করছে, যখন অনেক সামরিক বিশ্লেষক আশঙ্কা করছেন, ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের সংঘাত হতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইরানকে অবশ্যই পরমাণু সমঝোতায় আসতে হবে। অন্যথায় তাদের উপর এমন বোমা হামলা চালানো হবে। যা ইরান আগে কোনোদিন দেখেনি।
তবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খোমেনির মতে, হামলার হুমকি, নিছক ভয় দেখানো। যুক্তরাষ্ট্র ইরানে চালাবে বলে তার মনে হয় না। এরপরেও যদি এমনটা হয়। ইরান অবশ্যই শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখাবে বলে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
হুতি অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চলছেই
এদিকে ইরান সমর্থিত ইয়েমেনি গোষ্ঠী হুতিদের অবস্থান লক্ষ্য করে এখনও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন সেনারা। গতকালও ইয়েমেনের হোদেইদাহ অঞ্চলে মার্কিন বিমান হামলায় চার জন নিহত হয়েছেন।
হুতি নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আনিস আলাসবাহি জানিয়েছিলেন, হামলায় তিন জন নিহত ও দুই জন আহত হয়েছেন।
আনিস আলাসবাহি দাবি করেছিলেন, হতাহতদের মধ্যে কোনো হুতি যোদ্ধা নেই। তারা সবাই সাধারণ মানুষ।
পরে হুতি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, হামলায় মোট চার জন নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া সোমবার রাতেও মার্কিন সেনারা বিমান হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। গত ১৫ মার্চ থেকে ইয়েমেনে মার্কিন হামলা শুরুর পর থেকে ৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।