
হামলায় নিহত সাংবাদিক হেলমি আল-ফাকাওয়ি ও ইউসুফ আল-খাজিন্দর। ছবি- সংগৃহীত
প্যালেস্টাইন রেডক্রিসেন্টের চিকিৎসাকর্মীদের গাড়িতে হামলা চালানোর রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সাংবাদিকদের তাঁবুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার মধ্য দেইর এল-বালাহর পাঁচটি গ্রাম থেকে বাসিন্দাদের পালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর পরই নাসের হাসপাতালের কাছে সাংবাদিকদের তাঁবুতে হামলা চালানো হয়।
এ হামলার ঘটনায় হেলমি আল-ফাকাওয়ি ও ইউসুফ আল-খাজিন্দর নামের দুই সাংবাদিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে কারণ আহত সাত সাংবাদিকদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর।
আহমেদ মনসুর নামের এক সাংবাদিকের পুরো শরীর পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক জানিয়ে কুদস নিউজ নেটওয়ার্ক বলছে, “ডাক্তাররা তাকে বাঁচানোর জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন।”
সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, আহত আরেক সাংবাদিক ইহাব আল-বারদিনির অবস্থাও গুরুতর। হামলায় ধারালো কিছুর আঘাতে তার চোখ বেরিয়ে গেছে।
দ্য প্যালেস্টেনিয়ান জার্নালিস্টস ফোরাম সাংবাদিকদের তাঁবুতে হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তাদের বিবৃতিতে একজন সাংবাদিক নিহতের কথা বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ মার্চ প্যালেস্টাইন রেডক্রিসেন্টের গাড়িবহরে ইচ্ছাকৃতভাবে হামলা চালিয়ে ১৫ জন চিকিৎসাকর্মীকে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি সেনারা। শুরুতে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করলেও নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক ভিডিওর কারণে দায় স্বীকার করতে বাধ্য হয় তেলআবিব।
এ ছাড়া ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ৫০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
আল জাজিরা অ্যারাবিক জানিয়েছে, এর মধ্যে দেরি এল-বালাহ শহরের কাছে ইসরায়েলি অভিযানে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খান ইউনিসে পৃথক আরেক হামলায় নিহত হয়েছেন নয় জন।