ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি না হলে ‘নরক অপেক্ষা করছে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:৪১

সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের ঘাঁটিগুলোতে যুদ্ধবিমানের সংখ্যা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র
ইরান ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত ভূরাজনীতি এক নতুন মোড় পেতে চলেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার হোয়াইট হাউস থেকে ঘোষণা দেন, তার প্রশাসন ইরানের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসছে, যা শনিবার ওমানের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে।
লন্ডনভিত্তিক ফার্সি সংবাদমাধ্যম ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প এও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন- আলোচনা ব্যর্থ হতে ইরানকে ‘নরকের মূল্য দিতে হবে’।
প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এই উচ্চপর্যায়ের আলোচনায় ইরানের পক্ষে নেতৃত্ব দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে থাকবেন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আলোচনার মূল লক্ষ্য হবে ‘কী সম্ভব’ তা নির্ধারণ করা এবং আলোচনার প্রাথমিক ফোকাস ইরানের ‘পরমাণু কর্মসূচি’।
তেহরানকে ৬০ দিনের আল্টিমেটাম ট্রাম্পের
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে জানিয়েছেন, ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চুক্তিতে আসার জন্য ৬০ দিনের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয়েছে। দিন গণনা শুরু হবে শনিবার থেকেই। এই সময়ের মধ্যে সমঝোতা না হলে ইরানের বিরুদ্ধে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পরমাণু কর্মসূচিতে ইরানকে বাধা দিতে চান না ট্রাম্প। জেরুজালেম পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতে, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সীমিত বেসামরিক পারমাণবিক কর্মসূচি চালু রাখলে কোনো অসুবিধা নেই। সেই হিসেবে বুশেহর চুল্লির মতো স্থাপনাগুলো হয়তো অনুমোদন পেতে পারে।
ইরান বলছে, যুদ্ধের ঝুঁকি নেবেন না ট্রাম্প
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাঘচি এক মতামত কলামে লিখেছেন, ট্রাম্প সম্ভবত মধ্যপ্রাচ্যে আরেকটি যুদ্ধ শুরু করার ঝুঁকি নেবেন না। আফগানিস্তান ও ইরাকে ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যয় যে ভয়াবহতা সৃষ্টি করেছে, সেটি তিনি জানেন। তবে তিনি এটিও স্পষ্ট করেছেন যে, ইরান এখনো ‘পরোক্ষ আলোচনার’ জন্য প্রস্তুত এবং কূটনৈতিক পথ খোলা রয়েছে।
তবে সামরিক উত্তেজনাও বাড়ছে
ইরাকে নিজেদের ঘনিষ্ঠ শিয়া গোষ্ঠীগুলোর কাছে নতুন দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র হস্তান্তর করেছে ইরান। দ্য টাইমস এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে। তবে তেহরানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এই পদক্ষেপ প্রতিবেশী মার্কিন ঘাঁটিগুলোর জন্য হুমকি তৈরি করেছে বলেও দাবি করেছে পত্রিকাটি। এরই মধ্যে ইরান প্রতিবেশী দেশগুলোকে সতর্ক করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতা করলে ‘চরম পরিণতি’ অপেক্ষা করছে।