ইসরায়েলের হামলার পর মার্কিন জিম্মি এডানের ‘অবস্থান’ জানে না হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩১

গত বছরের অক্টোবরে নির্বাচনের প্রচারের সময় মার্কিন জিম্মি এডানের ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এবিসি নিউজ
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ উপত্যকা গাজায় মঙ্গলবার ভোরে ফের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসময় অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। হামলার পরে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস জানিয়েছে, তারা মার্কিন-ইসরায়েলি জিম্মি এডান আলেক্সান্দারকে খুঁজে পাচ্ছে না। তাকে পাহারা দেওয়া হামাস সদস্যদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।
হামাসের অভিযোগ, জিম্মি এডানকে রাখার জায়গাতেই সরাসরি বোমা ফেলেছে ইসরায়েলের বাহিনী।
বুধবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের বোমা হামলার পর এডানের ভাগ্যে কী ঘটেছে সেটি বলা যাচ্ছে না। কিছুদিন আগে হামাস জীবিত এডানকে নিয়ে ভিডিও ছাড়ার পরেই ইসরায়েল এই হামলা চালালো।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামাস হামলা চালিয়ে ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এখনও হামাসের হাতে ৫৯ জন ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে। ইসরায়েল মনে করে, তাদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত রয়েছে।
জিম্মিদের আটক থাকা নিয়ে ইসরায়েলে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। জিম্মিদের স্বজনদের অভিযোগ, নিজের রাজনৈতিক স্বার্থে জিম্মিদের মুক্তির প্রশ্নকে উপেক্ষা করে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করছেন নেতানিয়াহু।
রয়টার্স ও আল জাজিরার তথ্যমতে, ইসরায়েল তাদের সর্বশেষ প্রস্তাবে ৪৫ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে, এর বিনিময়ে হামাসকে ১১ জন ইসরায়েলি বন্দি মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে হামাস বলেছে, তারা ‘এক দফায়’ সব বন্দি মুক্তি দিতে প্রস্তুত, যদি ইসরায়েল যুদ্ধ বন্ধ করে এবং গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে জানুয়ারিতে যে তিন ধাপের চুক্তি হয়েছিল, ইসরায়েলের মার্চে তা ভেঙে আবার সামরিক অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১ হাজার ৫০০ জন নিহত হয়েছে বলে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য।
সংস্থাটি বলছে, গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ৯৮৩ জন এবং আহত ১ লাখ ১৬ হাজার ২৭৪ জন। নতুন করে আবারও কয়েক লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে এবং গাজা চরম অবরোধ ও দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছে।