চীনের কিছু পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৩৯

প্রতীকী ছবি।
চীন থেকে আমদানি করা কিছু নির্দিষ্ট পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি হোয়াইট হাউস নিশ্চিত করেছে। বুধবার (১৬ এপ্রিল) তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
এই শুল্ক আরোপ মূলত ইলেকট্রিক যানবাহন (ইভি) এবং ইনজেকশন সিরিঞ্জের মতো পণ্যের ওপর প্রযোজ্য হবে। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানান, এসব পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ “সেকশন ৩০১” শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এর সঙ্গে অতিরিক্তভাবে ফেন্টানিল সম্পর্কিত ২০ শতাংশ শুল্ক এবং ট্রাম্প প্রশাসনের ঘোষিত ১২৫ শতাংশ প্রতিশোধমূলক শুল্ক যোগ হয়ে মোট শুল্কহার দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৪৫ শতাংশ।
এর আগে, হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে মঙ্গলবার প্রকাশিত একটি তথ্যপত্রে বলা হয়, নতুন করে আরোপিত এই শুল্কহার পূর্বে ঘোষিত সর্বোচ্চ ১৪৫ শতাংশের তুলনায় অনেক বেশি।
উল্লেখ্য, “সেকশন ৩০১” ধারা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এমন পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারে, যেগুলো চীনের তথাকথিত “অন্যায্য বাণিজ্য নীতি”র আওতাভুক্ত বলে বিবেচিত। এই ধারার অধীনে সাধারণত ৭.৫ শতাংশ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হয়ে থাকে।
এদিকে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছেন, বাণিজ্য আলোচনায় এখন চীনকেই এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর ভাষায়, “চীনের কোর্টেই এখন বল। তাদেরই আমাদের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে। আমাদের চীনকে কিছু দেওয়ার প্রয়োজন নেই।”
ট্রাম্পের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট তাঁর পক্ষ থেকে এক বিবৃতি পড়ে শোনান। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “চীন ও অন্যান্য দেশের মধ্যে পার্থক্য খুব বেশি নয়, শুধু তারা আকারে বড় এবং আমাদের যা আছে, তা চায়।”
ট্রাম্প আরও জানান, বুধবার জাপান থেকে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল হোয়াইট হাউসে আসবে। বৈঠকে আলোচনা হবে শুল্কনীতি, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং বাণিজ্যের ন্যায্যতা নিয়ে। তিনি বলেন, “আমি নিজেই ওই বৈঠকে উপস্থিত থাকব, ট্রেজারি ও বাণিজ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে। আশা করি, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র—উভয়ের জন্যই ইতিবাচক কিছু অর্জিত হবে।”