ভারতের সঙ্গে চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানে পৌঁছিয়েছে তুরস্কের সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকটি পরিবহন বিমান।

ফ্লাইট রাডার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, রবিবার করাচির একটি সামরিক ঘাঁটিতে আঙ্কারা থেকে আসা সি-১৩০ হারকিউলিস বিমান অবতরণ করেছে। এ ছাড়া আরও ছয়টি বিমান অবতরণ করেছে রাজধানী ইসলামাবাদে। তবে এটি কী পেলোড নিয়ে এসেছে। তা স্পষ্ট নয়।

পাকিস্তান ও তুরস্ক উভয় দেশের পক্ষ থেকেই তার্কিশ সামরিক বিমান করাচি ও ইসলামাবাদে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। কিন্তু পেলোড ইস্যুতে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

তবে ধারণা করা হচ্ছে- ভারতের সঙ্গে আসন্ন সংঘাতকে বিবেচনায় রেখে সামরিক সহায়তা পাঠিয়ে থাকতে পারে তুরস্ক।

দুই দেশের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবেই সূসম্পর্ক রয়েছে। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী তুরস্কে উৎপাদিত অস্ত্রের বড় ক্রেতাও। একাধিক ব্যয়বহুল সামরিক প্রকল্পে দুই দেশ একসঙ্গে কাজও করছে।

এ ছাড়া তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বরাবরই কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের হয়ে সোচ্চার। অনেকক্ষেত্রে ভারতকে বিরক্ত করে হলেও তিনি পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছেন।

এর আগে ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের সময়ও ইসলামাবাদকে সামরিক সহায়তা দিয়েছিল আঙ্কারা।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহালগামে বন্দুকধারীর হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হওয়ার পর থেকেই উত্তেজনা চলছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে পেনসি, স্কারদু ও সোয়াতে থাকা বিমান ঘাঁটিতে এফ-১৬, জে-১০ ও জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান মোতায়েন করেছেন পাকিস্তানের বিমানবাহিনী।

সীমান্ত এলাকায় নিয়মিত টহল কার্যক্রম পরিচালনাও করছে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানগুলো।