‘ভারতের আগ্রাসন হলে শক্ত জবাব দেবে পাকিস্তান’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১ মে ২০২৫, ১৫:১০

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার
ভারতের বিরুদ্ধে কোনো সামরিক আগ্রাসন শুরু করবে না পাকিস্তান। তবে উসকানি দিলে শক্ত জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার।
এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন সময় এই হুঁশিয়ারি দিলেন, যখন দুই দেশের সীমান্তে প্রতিদিনই গোলাগুলি চলছে এবং পাকিস্তানে ভারতের সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের আশঙ্কা বাড়ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনটিতে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।
তারই উপস্থিতিতে ইশাক দার বলেন, পাকিস্তান সামরিক বাহিনী যেকোনো হুমকির জবাব দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
পাকিস্তান সব ধরনের সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করে এমনটা উল্লেখ করে পেহেলগামে হামলার সরাসরি নিন্দা জানান তিনি। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনাও প্রকাশ করেন।
ইসহাক দার বলেন, “নিরীহ মানুষের জীবন নেওয়া কোনো কারণেই ন্যায্য হতে পারে না। এটি আমাদের জাতীয় ও ইসলামী নীতি—কোনো একটি মানুষের হত্যাকে পুরো মানবজাতিকে হত্যার শামিল এবং একটি জীবন বাঁচানোকে পুরো মানবজাতিকে বাঁচানোর শামিল হিসেবে দেখা হয়।”
ভারত ‘দ্বিচারিতামূলক আচরণ’ করে দাবি করে তিনি আরও বলেন, “ভারত নিজের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের নামে হত্যাকাণ্ডগুলোকে মহিমান্বিত করে এবং পাকিস্তানসহ অন্যান্য দেশে সন্ত্রাসবাদে অর্থ যোগান দেয়। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের মতো আর কোনো দেশ এত বেশি ত্যাগ স্বীকার করেনি।”
আইএসপিআর প্রধান শরীফও এসময় বলেন, “পাকিস্তান কোনো উত্তেজনা চায় না। তবে ভারত যদি সামরিক পথ বেছে নেয় তাহলে ইসলামাবাদ তার অবস্থান ঠিক করে নেবে।”

“এই কঠিন ভূখণ্ড অতিক্রম করে ১০ মিনিটে কেউ সেখানে পৌঁছাতে পারে কীভাবে?” প্রশ্ন রাখেন তিনি।
আইএসপিআর প্রধান আরও বলেন, “ঘটনার পরপরই ভারতীয় গণমাধ্যম যেভাবে এটি মুসলমানদের দ্বারা হিন্দুদের ওপর হামলা হিসেবে তুলে ধরছে, তাতে প্রশ্ন জাগে তাদের উদ্দেশ্য কী?”
এদিকে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক হামলার ঘটনার পর ভারতীয় সেনারা সীমান্ত পার হয়ে হামলার কথা বিবেচনা করছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত দুই দিনে একাধিক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন এবং সেনাবাহিনীকে যা খুশি পদক্ষেপ নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন।
তবে ইসহাক দার বলছেন, “ভারত যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও উসকানিমূলক পরিবেশ তৈরি করছে, তা পুরো অঞ্চলকে অশান্তির দিকে ঠেলে দিতে পারে।”