রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ২০:২৬
-6831d71d1ae1f.jpg)
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময় শুরু
রাশিয়া ও ইউক্রেন চলমান যুদ্ধের সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়ের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। শুক্রবার প্রথম ধাপে উভয় দেশ ৩৯০ জন করে মোট ৭৮০ জন বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আরও এক হাজার করে মোট দুই হাজার বন্দিকে ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দুই দেশ।
এই বন্দি বিনিময়ের ঘোষণা আসে সম্প্রতি তুরস্কে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর। গত তিন বছরের মধ্যে এটি প্রথম সরাসরি আলোচনা হলেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। তবুও বিশ্লেষকদের মতে এটি শান্তির পথে একটি বাস্তব ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
উভয়পক্ষ জানায়, তারা এখন পর্যন্ত ২৭০ জন সেনাসদস্য এবং ১২০ জন বেসামরিক নাগরিক করে মুক্তি দিয়েছে। শনিবার ও রবিবার আরও বন্দি মুক্তি পাবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
মুক্তিপ্রাপ্ত ইউক্রেনীয় বন্দিরা উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ অঞ্চলের একটি হাসপাতালে পৌঁছান। বাস থেকে নামার পর দেখা যায়, বেশিরভাগের মাথা ন্যাড়া, ক্লান্ত চেহারা, এবং গায়ে ইউক্রেনের পতাকা জড়ানো।
২২ মাস ধরে বন্দি থাকা ইউক্রেনীয় সেনা ওলেক্সান্ডার নেহির বলেন, “এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো কোনো শব্দ নেই। আমি যদি প্রতিদিন বিশ্বাস না রাখতাম, তাহলে হয়তো মুক্ত হতে পারতাম না।”
আরেক সেনা মাইকোলাইভের ওলেক্সান্ডার তারাসোভ জানান, তিনি খেরসন ফ্রন্টে যুদ্ধরত অবস্থায় এক বছর নয় মাস আগে বন্দি হন। “এই মুহূর্তে এসেই বিশ্বাস হচ্ছে, আমি সত্যিই মুক্ত।“
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, মুক্তিপ্রাপ্ত রুশ বন্দিদের বেলারুশে আনা হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা ও মনোসামাজিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে কয়েকজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন, যারা রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় অভিযানের সময় আটক হন।
এ বিনিময়কে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখেন, “উভয় পক্ষকে অভিনন্দন। এটি হয়তো বড় কিছুর সূচনা হতে পারে???”
ট্রাম্প সম্প্রতি দুই পক্ষকে আলোচনায় বসার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। এমনকি রাশিয়া যদি শান্তি প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়, তবে তাদের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপেরও হুমকি দেন। তবে সোমবার পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের পর আপাতত কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।