কিয়েভে রাশিয়ার বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ মে ২০২৫, ২০:৩৭
-6831d9ae94031.jpg)
রাতভর কিয়েভে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এতে অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী বলছে, রাশিয়া একসঙ্গে ২৫০টি ড্রোন এবং ১৪টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। আগুন লেগেছে একাধিক আবাসিক ভবনে। এদিকে এই হামলার মধ্যে রাশিয়া ও ইউক্রেন তুরস্কে হওয়া আলোচনার ভিত্তিতে বন্দি বিনিময় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউক্রেন দাবি করেছে, তারা ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ২৪৫টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এই হামলাকে যুদ্ধ শুরুর পর কিয়েভে অন্যতম বড় সমন্বিত আকাশ হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, ‘প্রতিটি হামলা বিশ্বকে আরও বেশি করে বোঝায়, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার কারণ মস্কো।’
কিয়েভে রাতভর আগুন ও বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভাঙে বহু মানুষের। অনেক বাড়ি, দোকান ও যানবাহন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলেনস্কি এটিকে ‘কঠিন রাত’ বলে উল্লেখ করেছেন।
রাজধানীর উপকণ্ঠে বসবাসকারী ৬৪ বছর বয়সী ওলহা চিরুখা বলেন, ‘যদি একটা যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে আসা যেত! এভাবে মানুষজনের ওপর বোমা মারা— এটা সহ্য করা যায় না। আমার তিন বছর বয়সী নাতনি ভয়ে কাঁপছিল।’
কিয়েভ সামরিক প্রশাসনের প্রধান তিমুর তকাচেঙ্কো বলেন, ‘শত্রু তাদের ড্রোন ব্যবহারের কৌশল উন্নত করছে। একই সময়ে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘শুধু রাশিয়ার অর্থনীতির প্রধান খাতগুলোর ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞাই মস্কোকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করতে পারে।’
শনিবার জেলেনস্কি জানান, ৩০৭ জন ইউক্রেনীয় বন্দি বাড়ি ফিরেছেন। এর আগে শুক্রবার ইউক্রেন ও রাশিয়া দুই দেশই ৩৯০ জন করে সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক বিনিময় করেছে— যা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরুর পর সবচেয়ে বড় বন্দি বিনিময়।
দুই দেশ মোট এক হাজার বন্দি বিনিময়ে সম্মত হয়েছে। রোববার আরেক দফা বিনিময় হওয়ার কথা রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখনো তা বাস্তবায়ন করতে পারেননি, সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘এই বিনিময় হয়তো বড় কিছু নিয়ে আসতে পারে?’
এর আগেই ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। পরে তিনি বলেন, ক্রেমলিন ও ইউক্রেন ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ যুদ্ধবিরতির জন্য আলোচনায় বসবে।
তবে পুতিন এ পর্যন্ত শুধু বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সঙ্গে একটি সম্ভাব্য শান্তিচুক্তির খসড়া নিয়ে আলোচনা করতে পারে। তবে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।