পাকিস্তানি ভিক্ষুকদের ফেরত পাঠাচ্ছে মুসলিম দেশগুলো

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৫, ১৮:২৩

রিয়াদের অভিযোগ, ওমরাহ হজের ভিসা নিয়ে এসেও পাকিস্তানিরা মক্কায় ভিক্ষা করে।
গত ১৬ মাসে মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পাঁচ মুসলিম দেশ থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি পাকিস্তানি ভিক্ষুককে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি মাসেই পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) এমপি সেহর কামরানের করা একটি লিখিত প্রশ্নের জবাবে পার্লামেন্টে এমনটাই বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি।
নকভির কাছে গত তিন বছরের তথ্য চাওয়া হলেও তিনি কেবল ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের পরের তথ্যই সরবরাহ করেছেন।
তার দেওয়া সরকারি তথ্য অনুসারে, জানুয়ারি ২০২৪ থেকে মোট ৫ হাজার ৪০২ পাকিস্তানি নাগরিককে সৌদি আরব, ইরাক, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে ২০২৪ সালে ৪ হাজার ৮৫০ পাকিস্তানি নাগরিক কে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। আর ২০২৫ সালের প্রথম পাঁচ মাসে পাঠানো হয় ৫৫২ জনকে।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পাকিস্তানি ভিক্ষুককে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে সৌদি আরব। সংখ্যাটি ৫ হাজার ৩৩ জন।
তবে সম্প্রতি পাকিস্তানি ভিক্ষুকের সংখ্যা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে কমে গেছে। আর এমনটা হয়েছে, দেশগুলোর পাকিস্তানি পাসপোর্টে ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোর হওয়ার কারণে।
২০২৩ সালের শেষ দিকে ইউএই (সংযুক্ত আরব আমিরাত) পাকিস্তানিদের জন্য তাদের ভিসা নীতিতে কিছু কঠোর পরিবর্তন আনে।
বিশেষ করে পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য কিছু নির্দিষ্ট ধরনের পাসপোর্ট বা ভিসা প্রক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
এই নিষেধাজ্ঞা মূলত পাকিস্তানি নাগরিকদের অবৈধভাবে আমিরাতে প্রবেশ এবং বসবাস বন্ধ করতে চালু করা হয়। ইউএই সরকারের দাবি- অনেক পাকিস্তানি নাগরিক অবৈধভাবে কাজ করছেন বা ভিসা শর্তভঙ্গ করছেন, যার কারণে তারা কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানী পাসপোর্টধারীরা বিশেষ করে ভিক্ষাবৃত্তি, অবৈধ বসবাস এবং কাজের শর্ত ভঙ্গের কারণে সমস্যায় পড়েছেন। যার ফলে ইউএই কর্তৃপক্ষ পাকিস্তানি নাগরিকদের বিরুদ্ধে অনেক কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।
এদিকে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে পাকিস্তান সরকারকে জানানো হয় যে, যেসব পাকিস্তানি নাগরিক সৌদি আরবে অবৈধভাবে বসবাস করছেন বা ভিক্ষাবৃত্তি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিয়াদের অভিযোগ, ওমরাহ হজের ভিসা নিয়ে এসেও পাকিস্তানিরা মক্কায় ভিক্ষা করে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে এরই মধ্যে পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সৌদি আরবের ভিসা শর্তগুলো কঠোর হয়ে গেছে।