ট্রাম্প প্রশাসন থেকে পদত্যাগ করলেন ইলন মাস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১৪:৪৬

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইলন মাস্ক। ছবি: রয়টার্স
সরকারি আমলাতন্ত্রের আকার কমানো ও সংস্কারের উদ্যোগ নিয়ে বিতর্কের মুখেই শেষমেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শীর্ষ উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ইলন মাস্ক। বুধবার সন্ধ্যায় তার পদত্যাগের ঘোষণা আসে।
বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, এটি ছিল এক বিশৃঙ্খল অধ্যায়ের সমাপ্তি, যার মধ্যে ছিল হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই, বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ধ্বংস এবং প্রচুর মামলা-মোকদ্দমা। এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেও ওয়াশিংটনের অপরিচিত পরিবেশে ইলন মাস্ক সংগ্রাম করেছেন। তিনি যতটা অর্জন করতে চেয়েছিলেন, তার অনেক কমই করতে পেরেছেন।
সরকারি ব্যয়ের পরিমাণ কমানোর যে লক্ষ্য তিনি নিয়েছিলেন, সেটিও ধাপে ধাপে কমিয়ে ফেলেন। দুই ট্রিলিয়ন থেকে এক ট্রিলিয়ন, পরে ১৫০ বিলিয়নে। এ নিয়ে ইলন ক্রমশ হতাশা প্রকাশ করতে থাকেন। তিনি ট্রাম্প প্রশাসনের অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মাঝে মাঝে সংঘাতে জড়িয়েছেন, কারণ তারা নিজেদের দপ্তরে মাস্কের পরিবর্তন আনার চেষ্টায় বিরক্ত হন। তার উদ্যোগগুলো রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়ে।
ট্রাম্পের জন্য কাজ করার মাস্কের ভূমিকা সবসময়ই সাময়িক ছিল। তিনি সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আবার তার ব্যবসায় মনোযোগ দেবেন।
ধনকুবের মাস্ক বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা এবং মহাকাশ সংস্থা স্পেস এক্সের মালিক।
পদত্যাগ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে তিনি লিখেছেন, “বিশেষ সরকারি কর্মচারী হিসেবে আমার নির্ধারিত সময় শেষ হচ্ছে। আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানাতে চাই অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য। ডিওজিইর মিশন ভবিষ্যতে আরও শক্তিশালী হবে। এটি ধীরে ধীরে সরকারি ব্যবস্থার একটি নিয়মে পরিণত হবে।”
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাস্কের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ট্রাম্প তার নতুন প্রশাসনে যুক্ত করেন ইলন মাস্ককে। তাঁকে নবগঠিত ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগের’ দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটা সরকারের সরাসরি কোনো অংশ নয়।
বিশেষ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ইলন মাস্কের সরকারি দায়িত্বের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ৩০ মে। ১৩০ দিনের ম্যান্ডেট নিয়ে দায়িত্বে আসেন মাস্ক।