
দি ইকোনমিস্টের এশিয়া সংস্করণের সর্বশেষ সংখ্যার প্রচ্ছদ।
প্রভাবশালী ম্যাগাজিন দি ইকোনমিস্টের এশিয়ার জন্য ছাপা সংখ্যার বিতরণ নিষিদ্ধ করেছে ভিয়েতনাম। কভারে প্রেসিডেন্টের ছবি থাকায় দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত দেশটিতে এটি সেন্সরশিপের নতুন ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৪ মের সংখ্যাটি এখনও ইলেকট্রনিক সংস্করণে দেশটিতে পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে প্রেসিডেন্ট টো লামের চোখের জায়গায় দুটি তারা দেখানো হয়েছে। পেছনে লাল পটভূমি, যা ভিয়েতনামের জাতীয় পতাকার প্রতীক। প্রচ্ছদের শিরোনাম ছিল- দি ম্যান উইথ আ প্ল্যান ফর ভিয়েতনাম।
মূল প্রতিবেদনের উপশিরোনামে লেখা ছিল-‘এশিয়ার সাফল্যের গল্পকে বাঁচাতে হবে কমিউনিস্ট পার্টির একজন কঠোর ব্যক্তি’।
ভিয়েতনামের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও গণমাধ্যমবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
দ্য ইকোনমিস্ট-ও যুক্তরাজ্যের অফিস সময়ের বাইরে থাকায় তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি।
ভিয়েতনাম প্রায়ই বই, সিনেমা এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক পণ্য নিষিদ্ধ করে। একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমও দেশটিতে নিষিদ্ধ।
তৃতীয় এক বিতরণকারী, শুনহাসাবার একজন কর্মী জানান, তারা এই সংখ্যা পাননি কারণ পর্যাপ্ত অর্ডার পাওয়া যায়নি।
দি ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে লামকে একজন উচ্চাকাঙ্ক্ষী নেতা হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। ৬৭ বছর বয়সী লাম দীর্ঘদিন জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন। মাসব্যাপী ক্ষমতার দ্বন্দ্বের পর তিনি প্রথমে প্রেসিডেন্ট হন এবং পরে কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান হন-যা ভিয়েতনামের শীর্ষ পদ।