ট্রাম্পের শুল্কনীতিতে স্থবির বৈশ্বিক অর্থনীতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১৯:৩৯

ডোলান্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশটির শুল্কনীতির প্রভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতির গতি ধীর হয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থা অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি)।
সংস্থাটির নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে বিশ্ব অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশ, যা আগের পূর্বাভাস ৩ দশমিক ১ শতাংশ থেকে কম।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিশ্বজুড়ে বাণিজ্যিক বাধা বেড়ে যাওয়াকেই এই প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার মূল কারণ হিসেবে দেখছে ওইসিডি। এর ফলে প্রায় সব দেশেই অর্থনৈতিক দুর্বলতা দেখা দেবে।’
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ট্রাম্প বিভিন্ন দেশের ওপর একের পর এক শুল্ক আরোপ করে যাচ্ছেন। তবে এসব সিদ্ধান্তের ধরন অনিশ্চিত ও হঠাৎ হওয়ায় বৈশ্বিক বাণিজ্যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে।
ওইসিডির প্রধান অর্থনীতিবিদ আলভারো পেরেইরা বিসিকে বলেন, “আমরা প্রায় সব দেশের জন্যই পূর্বাভাস কমিয়ে আনছি। অর্থাৎ, আগের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ও চাকরির সুযোগ কমে যাবে।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব প্রবৃদ্ধি কমে ২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৬ শতাংশে নামতে পারে এবং ২০২৬ সালে তা আরও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির ঝুঁকিও বাড়ছে, যদিও ট্রাম্প বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে তার শাসনে মূল্যস্ফীতি কমবে।
তবে ওইসিডির প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করেন, “শুল্কনীতির কারণে আমাদের অর্থনীতি এখন দুর্দান্ত!”
তবে এই দাবির বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৫ সালের প্রথম তিন মাসে দেশটির অর্থনীতি বার্ষিক হারে ০ দশমিক ২ শতাংশ হারে সংকুচিত হয়েছে। ২০২২ সালের পর এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির মুখ দেখল।
বিশ্ব অর্থনীতির এই মন্থর গতির পরিপ্রেক্ষিতে উন্নয়নশীল দেশগুলো আরও বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, বিশেষ করে বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ও বাণিজ্যে।