
উপসাগরীয় দেশগুলোতে শুক্রবার ঈদ উদযাপন হচ্ছে।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ও অন্যান্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে আজ ধর্মীয় শ্রদ্ধার সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন হচ্ছে। মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীতে বড় জামাতের ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার সকালে মক্কা ও মদিনার পবিত্র শহরগুলোতে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়, যেখানে হাজার হাজার মুসলমান জড়ো হন।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম আরি নিউজ জানিয়েছে, মসজিদুল হারামে ঈদের নামাজে ইমামতি ও খুতবা প্রদান করেন শেখ মাহের আল-মুয়াইকলি। একই ধরনের জামাত অনুষ্ঠিত হয় আল-আকসা মসজিদ, লেবানন ও মিসরে। নামাজের পর পশু কোরবানি দেওয়া হয়।
দামাস্কাসে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় গ্র্যান্ড মসজিদে, যেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারাআ অংশ নেন।
এদিকে, হাজিরা মুযদালিফা থেকে মিনায় পৌঁছাতে শুরু করেছেন, যেখানে তারা রমি (শয়তানকে পাথর ছোড়া), পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন এবং ইহরাম থেকে বের হওয়ার আনুষ্ঠানিকতা পালন করবেন। এরপর তারা মক্কায় তাওয়াফে জিয়ারত ও সাঈ সম্পন্ন করবেন।
মধ্যপ্রাচ্যের বাইরেও ইউরোপ ও উত্তর আমেরিকার কিছু অংশে শুক্রবার ঈদ উদ্যাপন করা হচ্ছে। তবে অনেক জায়গায় ঈদ পরের দিন পালন করা হবে। ফলে এবার ঈদের দিন দুইভাবে পালন হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও ইউরোপে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ঈদের দিন নিয়ে পার্থক্য রয়েছে।
ইউএইর শহর যেমন দুবাই, আবুধাবি ও শারজাহতেও মসজিদ ও নির্ধারিত মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করা হয়।
পাকিস্তানে বোহরা সম্প্রদায়ও শুক্রবার ঈদুল আজহা পালন করছে। করাচির সদর, পাকিস্তান চক, হাইদারী ও বালুচ কলোনি এলাকায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।