যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অভিবাসী বিরোধী অভিযানে বিপুল সংখ্যক মানুষকে গ্রেপ্তারের পর ক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে লস অ্যাঞ্জেলস শহর। শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ মুখোমুখি অবস্থানে হেলমেট পরা দাঙ্গা পুলিশের উপস্থিতি দেখা যায়। 

রয়টার্সের সরাসরি ভিডিওতে দেখা যায়, লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগের (এলএপিডি) কর্মকর্তারা রাস্তায় সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছেন। তাদের হাতে লাঠি এবং সম্ভবত টিয়ার গ্যাসের রাইফেল। তারা বিক্ষোভকারীদের মুখোমুখি অবস্থানে ছিলেন। কর্তৃপক্ষ সন্ধ্যার দিকে জমায়েত ছত্রভঙ্গ করতে নির্দেশ দেয়।

সংঘর্ষের শুরুতে কিছু বিক্ষোভকারী ভাঙা কংক্রিটের টুকরো পুলিশদের দিকে ছুড়ে মারে। পুলিশ পাল্টা টিয়ার গ্যাস ও পিপার স্প্রে ছোড়ে। পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গ্রেপ্তারের খবর জানা যায়নি।

এলএপিডির মুখপাত্র ড্রেক ম্যাডিসন রয়টার্সকে বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ ‘অবৈধ জমায়েত’ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ, যারা এলাকা ছেড়ে যায়নি, তাদের গ্রেপ্তার করা হতে পারে।”

দিনের শুরুতে টেলিভিশন সংবাদে দেখা যায়, চিহ্নহীন সামরিক ধরনের গাড়ি ও ইউনিফর্ম পরা কেন্দ্রীয় এজেন্টে ভরা ভ্যান লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে, যা ছিল ইমিগ্রেশন অভিযান অংশ।

যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এজেন্টরা শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এর মধ্যে ছিল ওয়েস্টলেক জেলার একটি হোম ডিপো, ফ্যাশন জেলায় একটি পোশাকের দোকান এবং সাউথ লস অ্যাঞ্জেলেসে একটি পোশাকের গুদাম। 

বিক্ষোভকারীরা একটি আদালতের ভবনের দেয়ালে আইসিই বিরোধী স্লোগান লিখে দেয়। তারা কাছের একটি জেলের সামনে জড়ো হয়, যেখানে কিছু আটক ব্যক্তিকে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।

সিএনএস এবং অন্যান্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই অভিযানে বহু মানুষকে আটক করা হয়েছে। এই অভিযান ছিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর দমননীতির অংশ হিসেবে বিভিন্ন শহরে পরিচালিত ধারাবাহিক অভিযানের একটি।

ট্রাম্প রেকর্ডসংখ্যক অনিবন্ধিত অভিবাসীকে আটক ও বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছেন।

লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র ক্যারেন ব্যাস এক বিবৃতিতে অভিবাসীদের আটক অভিযানের নিন্দা করে বলেন, “এই ধরনের কৌশল আমাদের কমিউনিটিতে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এবং আমাদের শহরে নিরাপত্তার মূল নীতিগুলোকে ব্যাহত করে।”