
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৮৮০ জনে।
মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহায়ও গাজায় অভিযান থামায়নি ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। ঈদের তৃতীয় দিন রবিবার সারাদিনের বোমাবর্ষণে নিহত হয়েছেন ১০৮ জন ফিলিস্তিনি, আহত হয়েছেন আরও ৩৯৩ জন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রবিবারের হামলার পর এই অভিযানে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪ হাজার ৮৮০ জনে। আর মোট আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১ লাখ ২৬ হাজার ২২৭ জনে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলার পর গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল। ওই হামলায় ইসরায়েলে অন্তত ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় গাজায়।
হামলার জবাবে গাজায় শুরু হয় টানা বিমান ও স্থল অভিযান। টানা ১৫ মাস ধরে চালানো ওই অভিযানে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয় ইসরায়েল।
তবে যুদ্ধবিরতির দুই মাস না যেতেই ১৮ মার্চ থেকে ফের সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এই অভিযানে গত আড়াই মাসে নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪ হাজার ৬০৩ জন এবং আহত হয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার ৬৮৬ জন ফিলিস্তিনি।
২৫১ জন জিম্মির মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছেন বলে ধারণা করছে ইসরায়েল। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধারের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে আইডিএফ।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একাধিকবার গাজায় অভিযান বন্ধ করতে আহ্বান জানালেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় করা এবং সব জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত এই অভিযান চলবে।
সম্প্রতি গাজায় নতুন করে দুই মাসের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে নেতানিয়াহু সম্মতি জানালেও এখন পর্যন্ত সে প্রস্তাবে সায় দেয়নি হামাস।