
ইলন মাস্ক ও ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশেষে মুখ খুললেন ইলন মাস্কের মাদক সেবন সংক্রান্ত গুঞ্জন নিয়ে। ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ব্যয় হ্রাসে গঠিত ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিএ)’–এর প্রধান হিসেবে মাস্ক কাজ করার সময় এসব অভিযোগ ওঠে।
মঙ্গলবার (১০ জুন) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।
তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্পষ্ট করে কিছু না বললেও জানান, মাস্ক হোয়াইট হাউসে অবৈধ মাদক নিয়েছিলেন কিনা—তা তিনি নিশ্চিত নন, তবে ‘আশা করেন’ তিনি তা করেননি।
সোমবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি জানি না। আমার মনে হয় না। আমি চাইও না সেটা সত্য হোক।’
ট্রাম্প আরও বলেন, তার সঙ্গে ইলন মাস্কের সম্পর্ক ‘ভালো’ ছিল এবং তিনি মাস্কের মঙ্গল কামনা করেন। উল্লেখ্য, মাস্ক ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জিতিয়ে আনতে প্রায় ২৭৫ মিলিয়ন ডলার দান করেছিলেন।
‘আমি তার মঙ্গল কামনা করি। খুব ভালোভাবেই কামনা করি,’ বলেন ৭৮ বছর বয়সি ট্রাম্প।
সাম্প্রতিক সপ্তাহে দু’জনের মধ্যে প্রকাশ্য মতবিরোধ দেখা দিলেও মাস্কের মাদক সেবন নিয়ে এটিই ট্রাম্পের সবচেয়ে স্পষ্ট মন্তব্য। নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ট্রাম্পের ২০২৪ সালের প্রচার অভিযানে মাস্ক ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত থাকার সময় তিনি কেটামিন, এক্সট্যাসি ও সাইকেডেলিক মাশরুম সেবন করেন।
প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে আরও বলা হয়, গত এক বছরে মাস্কের মাদক সেবনের মাত্রা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যায় এবং তিনি নিয়মিত একটি ওষুধের বাক্স বহন করতেন, যাতে ছিল প্রায় ২০টি ট্যাবলেট, যার মধ্যে অ্যাডেরাল নামক স্টিমুল্যান্টও ছিল বলে দাবি।
তবে শনিবার এক্স (সাবেক টুইটার)–এ মাস্ক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে লেখেন, স্পষ্ট করে বলি—আমি মাদক সেবন করছি না! নিউইয়র্ক টাইমস পুরোপুরি মিথ্যা বলেছে।
তিনি আরও জানান, কয়েক বছর আগে ‘প্রেসক্রিপশন কেটামিন’ নিয়েছিলাম, এবং সেটি আমি এক্স–এ জানিয়েছিলামও। তাই এটা নতুন কোনো খবর নয়। এটা গভীর মানসিক অন্ধকার থেকে বের হতে সাহায্য করে। কিন্তু এরপর আর তা নেইনি।
এর আগে মাস্ক স্বীকার করেছিলেন যে, তিনি মানসিক নেতিবাচকতা দূর করতে চিকিৎসকের পরামর্শে কেটামিন নিয়েছিলেন এবং তার মতে, এটি তার কাজের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।