
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। প্রতীকী ছবি
যুক্তরাষ্ট্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ওপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ চাপালে চীন এতে সুযোগ নিয়ে সামনে চলে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন হোয়াইট হাউসের এক শীর্ষ উপদেষ্টা।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে অ্যামাজনের আয়োজিত ‘এডব্লিউএস সামিট’-এ বক্তৃতায় ডেভিড স্যাকস বলেন, “চীন আমাদের থেকে বছর পেছনে নেই, হতে পারে মাত্র তিন থেকে ছয় মাস পিছিয়ে আছে। এআই নিয়ে প্রতিযোগিতা এখন খুবই কাছাকাছি।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই কর্মকর্তা এখন হোয়াইট হাউসে এআই ও ক্রিপ্টো বিষয়ক উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে এআই প্রযুক্তি নিয়ে যেসব বিধিনিষেধ প্রস্তাব করা হচ্ছে, তা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে স্যাকস বলেন, “ভয়ের কারণে আমরা এমন সব আইন করতে যাচ্ছি, যেগুলো এই অসাধারণ অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে পারে।”
তিনি বলেন, “আমরা এআই চিপগুলোকে এমনভাবে দেখছি যেন এগুলো ছোট কোনো যন্ত্রপাতি, যেগুলো ব্রিফকেসে করে পাচার করা যায়। বাস্তবে এগুলো বিশাল সার্ভার র্যাক, আট ফুট লম্বা, ওজন দুই টনের মতো। এগুলো খুঁজে পাওয়া বা নজরদারি করা একেবারে সহজ।”
স্যাকস জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসন বাইডেনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদেশ বাতিল করেছে, যার মধ্যে ছিল—প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা, ভোক্তা সুরক্ষা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াতে এআই যেন ব্যবহার না হয়, তা নিশ্চিত করার নীতি।
বিশেষ করে তিনি বাইডেনের ‘এআই ডিফিউশন রুল’ বা প্রযুক্তি বিস্তারে বিধিনিষেধের সমালোচনা করে বলেন, “ওই রুল অনুযায়ী, চীন বা মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের এআই চিপ যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছিল। এতে করে আমরা নিজেরাই নিজেদের প্রযুক্তিকে ছড়িয়ে দেওয়ার পথ রুদ্ধ করে ফেলি।”
তিনি বলেন, “আমরা যদি তাদের ঠেলে দিই, তাহলে তারা চীনের দিকে ঝুঁকবে। আর পাঁচ বছর পর যদি দেখি হুয়াওয়ের চিপ চারদিকে ছড়িয়ে গেছে, বুঝতে হবে আমরা হেরে গেছি। এটা হতে দেওয়া যাবে না।”
স্যাকস জানান, চীনের এআই প্রতিষ্ঠান ‘ডিপসিক’ এই বছর একটি শক্তিশালী ও কম খরচের এআই মডেল তৈরি করেছে, যা বিশ্বজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
“চীনের চিপ আমাদের থেকে হয়তো এক-দুই বছর পিছিয়ে, কিন্তু তাদের সফটওয়্যার বা মডেল আমাদের খুব কাছাকাছি,” বলেন তিনি।