লস অ্যাঞ্জেলসে আটকের ক্ষমতা পেল মেরিন সেনারা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১৩:১৪

বিক্ষোভ দমাতে লস অ্যাঞ্জেলসে ইতোমধ্যে ‘সতর্ক’ অবস্থান নিয়েছে মেরিন সেনারা। ছবি: সংগৃহীত
অভিবাসী নীতির বিরুদ্ধে ছয় দিন ধরা চলা বিক্ষোভ দমনে লস অ্যাঞ্জেলসে প্রায় ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকার। এই সেনারা চাইলে অভিবাসন কর্মকর্তাদের বাধা দেওয়া বা বিক্ষোভে সংঘর্ষে জড়ানোদের আটক করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বিক্ষোভ ঠেকাতে আগামী দুই দিনের ভেতরে মেরিন সেনারা লস অ্যাঞ্জেলসের রাস্তায় অবস্থান নেবেন। তারা মার্কিন ন্যাশনাল গার্ড ট্রুপসের সঙ্গে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবেন।
মার্কিন নৌবাহিনীর অধীনে থাকা মেরিন সেনারা স্থল ও জল দুই ধরনের যুদ্ধেই অংশ নেন।
অভিবাসীদের আটক করা ঘিরে লস অ্যাঞ্জেলস থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ ইতোমধ্যে নিউ ইয়র্ক, আটলান্টা ও শিকাগোর মতো বড় শহরগুলোতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
বিক্ষোভ ঠেকাতে নিজেদের দেশের মাটিতে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়ে ব্যাপক বিতর্কের মুখেও পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টি নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের গভর্নর গাভিন নিউসমের সঙ্গে বিরোধেও জড়িয়েছেন তিনি।
শুক্রবার লস অ্যাঞ্জলসে কিছু অভিবাসীকে আটক করা নিয়ে বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়। বিক্ষোভকারীরা একটি আটক কেন্দ্র ঘেরাও করেন। তারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগও করেন। সহিংস বিক্ষোভ দমাতে শেষমেশ শনিবার ন্যাশনাল গার্ডের দুই হাজার সদস্য মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প।
পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকলে এর দুদিন পরেই সোমবার মেরিন সেনাদের মোতায়েনের ঘোষণা দেন তিনি। ট্রাম্প দাবি করছেন, সহিংস বিক্ষোভ থেকে লস অ্যাঞ্জেলসবাসীকে মুক্ত করতে তিনি এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্টের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়েছেন শহরটির বাসিন্দারা।
ট্রাম্পের সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তকে ‘কর্তৃত্ববাদী’ আচরণ বলে নিন্দা জানিয়েছে বিরোধী ডেক্রোক্যাটিক পার্টি।জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়নে জোর পদক্ষেপ নিয়েছেন ট্রাম্প। কঠোর করা হয়েছে অভিবাসন আইনও।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রতিদিন অন্তত তিন হাজার অভিবাসীকে আটক করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই অভিযানে বৈধ অভিবাসীরাও ধরপাকড়ের মুখে পড়ছেন বলে বিভিন্ন আইনজীবী ও মানবাধিকার সংগঠন অভিযোগ তুলেছে।