গাজায় সহায়তা কেন্দ্রে ফের ইসরায়েলি গুলি, নিহত ১২০ ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ১৭:২৬

ইসরায়েলি গুলিতে নিহত কয়েকজনের মরদেহ ঘিরে আছেন ফিলিস্তিনিরা।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১২০ জন ফিলিস্তিনি। তাদের অনেকেই সহায়তার আশায় বিতরণকেন্দ্রে জড়ো হয়েছিলেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৭ জন। আহত হয়েছেন আরও ৩৬৩ জন।
এই সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে একটি বিতর্কিত সংস্থার মাধ্যমে, যেটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত। বিতরণকেন্দ্রগুলো স্থাপন করা হয় ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকা নেটসারিম করিডর ও রাফাহ এলাকায়।
ফাউন্ডেশনটি চালু হওয়ার পর থেকে এসব সহায়তা কেন্দ্রে খাদ্য নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২২০ জনের বেশি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, তারা নেটসারিম করিডরে ‘সতর্কতামূলক গুলি’ ছুড়েছে। তবে চিকিৎসা সূত্র বলছে, বেশিরভাগ নিহত ব্যক্তিই গুলির আঘাতে মারা গেছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তর বলেছে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষুধার মধ্যে ফেলে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের এক আক্রমণের পর ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৫ হাজার ১০৪ জন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলের বোমা ও ড্রোন হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে হাসপাতাল, স্কুল ও শরণার্থী শিবির। জাতিসংঘ বলছে, গাজায় এখন এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা জিএইচএফ’র বিতরণব্যবস্থাকে অমানবিক বলে আখ্যা দিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ একে ‘চলমান হত্যাকাণ্ড আড়াল করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেছে। সংস্থাটির মতে, জিএইচএফকে দিয়ে সহায়তা বিতরণ করা মানবিক মানদণ্ডের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।
অন্যদিকে, গাজার বিভিন্ন অংশে ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই আরও বহু প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় সাতজন, জাবালিয়ায় দুই শিশুসহ তিনজন, নুসেইরাতে ড্রোন হামলায় তিনজন এবং খান ইউনুসে শরণার্থী শিবিরে আরও চারজন নিহত হয়েছেন।
গাজায় কাজ করা ইউনিসেফ মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেন, “প্রত্যেকটি হাসপাতালেই একই দৃশ্য-পুড়ে যাওয়া শিশুরা, সীমিত সামর্থ্যে চিকিৎসকেরা লড়াই করছেন। এটা যেন শিশুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।”
এদিকে গাজার দিকে রওনা হওয়া ‘ম্যাডলিন’ নামের মানবিক সহায়তা জাহাজের আটজন কর্মী এখনো ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি। তাদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসান। মানবাধিকার সংস্থা আদালাহ এসব গ্রেপ্তারকে বেআইনি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছে।
গাজায় জাতিসংঘ ও অন্যান্য প্রথাগত ত্রাণ সংস্থার প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ইসরায়েল এখনো তাদের বিকল্প ত্রাণব্যবস্থাকে ‘সফল’ বলে দাবি করছে। অথচ প্রতিদিন লাশের সংখ্যা বাড়ছে, আর মানুষ ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর গুলিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১২০ জন ফিলিস্তিনি। তাদের অনেকেই সহায়তার আশায় বিতরণকেন্দ্রে জড়ো হয়েছিলেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার সকাল থেকে সহায়তা নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫৭ জন। আহত হয়েছেন আরও ৩৬৩ জন।
এই সহায়তা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) নামে একটি বিতর্কিত সংস্থার মাধ্যমে, যেটি ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত। বিতরণকেন্দ্রগুলো স্থাপন করা হয় ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে থাকা নেটসারিম করিডর ও রাফাহ এলাকায়।
ফাউন্ডেশনটি চালু হওয়ার পর থেকে এসব সহায়তা কেন্দ্রে খাদ্য নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২২০ জনের বেশি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, তারা নেটসারিম করিডরে ‘সতর্কতামূলক গুলি’ ছুড়েছে। তবে চিকিৎসা সূত্র বলছে, বেশিরভাগ নিহত ব্যক্তিই গুলির আঘাতে মারা গেছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া দপ্তর বলেছে, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে ক্ষুধার মধ্যে ফেলে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের এক আক্রমণের পর ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। তারপর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৫৫ হাজার ১০৪ জন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
ইসরায়েলের বোমা ও ড্রোন হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে হাসপাতাল, স্কুল ও শরণার্থী শিবির। জাতিসংঘ বলছে, গাজায় এখন এক ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা জিএইচএফ’র বিতরণব্যবস্থাকে অমানবিক বলে আখ্যা দিয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএ একে ‘চলমান হত্যাকাণ্ড আড়াল করার ব্যর্থ প্রচেষ্টা’ বলে উল্লেখ করেছে। সংস্থাটির মতে, জিএইচএফকে দিয়ে সহায়তা বিতরণ করা মানবিক মানদণ্ডের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।
অন্যদিকে, গাজার বিভিন্ন অংশে ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই আরও বহু প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। গাজা সিটির তুফাহ এলাকায় সাতজন, জাবালিয়ায় দুই শিশুসহ তিনজন, নুসেইরাতে ড্রোন হামলায় তিনজন এবং খান ইউনুসে শরণার্থী শিবিরে আরও চারজন নিহত হয়েছেন।
গাজায় কাজ করা ইউনিসেফ মুখপাত্র জেমস এল্ডার বলেন, “প্রত্যেকটি হাসপাতালেই একই দৃশ্য-পুড়ে যাওয়া শিশুরা, সীমিত সামর্থ্যে চিকিৎসকেরা লড়াই করছেন। এটা যেন শিশুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।”
এদিকে গাজার দিকে রওনা হওয়া ‘ম্যাডলিন’ নামের মানবিক সহায়তা জাহাজের আটজন কর্মী এখনো ইসরায়েলের কারাগারে বন্দি। তাদের মধ্যে রয়েছেন সুইডিশ পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ ও ইউরোপীয় পার্লামেন্ট সদস্য রিমা হাসান। মানবাধিকার সংস্থা আদালাহ এসব গ্রেপ্তারকে বেআইনি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যা দিয়েছে।
গাজায় জাতিসংঘ ও অন্যান্য প্রথাগত ত্রাণ সংস্থার প্রবেশ নিষিদ্ধ করে ইসরায়েল এখনো তাদের বিকল্প ত্রাণব্যবস্থাকে ‘সফল’ বলে দাবি করছে। অথচ প্রতিদিন লাশের সংখ্যা বাড়ছে, আর মানুষ ক্ষুধায় মারা যাচ্ছে।