ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ দুর্ঘটনাস্থল থেকে কমপক্ষে ২৭০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অধিকাংশ মরদেহই পুড়ে যাওয়া বা বিকৃত অবস্থায় রয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, শনিবার বিএজে মেডিকেল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. ধবল গামেটি নিশ্চিত করেছেন যে, হাসপাতালটিতে ২৭০টি মরদেহ এসেছে। এর মধ্যে ২৪১ জনই ছিলেন ফ্লাইটের যাত্রী ও ক্রু।

মাটিতে কতজন নিহত হয়েছেন, তা এখনও নিশ্চিত নয়। একইসঙ্গে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ মিলিয়ে দেখার কাজ চলছে- যা সাধারণত ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় নেয়।

বৃহস্পতিবার উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনারটি উচ্চতা হারিয়ে একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। বিমানে থাকা ২৪২ জনের মধ্যে মাত্র একজনই বেঁচে আছেন। এছাড়া মাটিতে থাকা আরও অন্তত ২৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ডা. ধবল গামেটি অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, “অধিকাংশ মরদেহ পুড়ে যাওয়ায় পরিচয় সরাসরি শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাই আত্মীয়স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তরের আগে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত করা হচ্ছে।”

ভারতের উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা তদন্ত ব্যুরো এএআইবি দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। তদন্তে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞ দল।

শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল থেকে ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়, যা এই তদন্তে ‘গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি’ আনবে বলে জানিয়েছেন ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিনজারাপু।