আকাশ সুরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্রের সংকটে ইসরায়েল: ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৫, ১৬:৫৮

ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘অ্যারো’।
ইসরায়েলে চলমান ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হতাহতের ঘটনা ঘটছে। হচ্ছে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতিও। অথচ গাজায় যুদ্ধ শুরুর আগে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্রিকা ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল বলছে, ইসরায়েলের গুরুত্বপূর্ণ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘অ্যারো’র ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদ কমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে পত্রিকাটি জানিয়েছে, গত কয়েকমাস ধরেই এই ক্ষেপণাস্ত্র ঘাটতির কথা জানে ওয়াশিংটন। তাই যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে স্থল, জল ও আকাশপথে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করেছে।
গত জুনে সংঘর্ষ বেড়ে মার্কিন প্রতিরোধ ক্ষেপণাস্ত্রের মজুদও এখন চাপে রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রকল্পের পরিচালক টম কারাকো সতর্ক করে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল কেউই সারাদিন বসে থেকে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করে যেতে পারবে না। ইসরায়েল ও তার মিত্রদের এখন খুব দ্রুত ও সচেতনভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে… আমরা কেবল বসে থেকে প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে সময় নষ্ট করতে পারি না।”
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত ও সজ্জিত।” তবে তারা অস্ত্র বা মজুদের বিষয় নিয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
উল্লেখ্য, অ্যারো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইসরায়েলের বহুস্তরীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা কাঠামোর একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি উচ্চ সক্ষমতার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত ও ধ্বংসে সক্ষম।
কিন্তু এর ক্ষেপণাস্ত্র সংকট ইসরায়েলকে সামনের দিনগুলোতে ইরানের হামলার মোকাবেলায় সংকটে ফেলতে পারে।
বিপরীতে ইসরায়েলের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে এটি ইরানের ওপর বড় সুযোগ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো বলছে, ইরানের কাছে ২০ থেকে ৫০ হাজারের মতো ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ থাকতে পারে।