সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের আমানত বেড়েছে ৩৩ গুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৫, ২২:০৪

২০২৪ সালের শেষে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ২৩ গুণ।
বৃহস্পতিবার সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ২০২৪ সালে সুইস ব্যাংকগুলোতে রাখা সম্পদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে ।
কোন দেশের গ্রাহকদের কী পরিমাণ অর্থ সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে জমা আছে, তার একটি ধারণা প্রতিবছর এসএনবির বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া যায়। দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদের বাধ্যবাধকতা মেনে এসএনবি ওই তথ্য প্রকাশ করে। তবে সেখানে গ্রাহকের বিষয়ে কোনো ধারণা পাওয়া যায় না।
তাদের প্রকাশিত পরিসংখ্যান মতে, ২০২৪ সালের শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশের নামে জমা রয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ। প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে যার পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা।
পরিসংখ্যান বলছে ২০২৩ সালের শেষে এই অর্থের পরিমাণ ছিল ২ কোটি ৬৪ লাখ ফ্রাঁ, যা তখনকার হিসাবে প্রায় ৩৯৬ কোটি টাকা।
তাই ২০২৪ সালে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের টাকার পরিমাণ প্রায় ২২.৬৫ গুণ বেড়েছে।
বিশ্বজুড়ে ধনী ব্যক্তিদের টাকা সুইস ব্যাংকে রাখার আগ্রহের পেছনে মূল কারণ দেশটির গোপনীয়তার নীতি। সুইজারল্যান্ডের আইনে ব্যাংকগুলো তাদের গ্রাহকদের তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য নয়। টাকার উৎসও তারা জানতে চায় না। যদিও বিদেশি অর্থের তথ্যের গোপনীয়তার ক্ষেত্রে এখন ছাড় দিচ্ছে সুইজারল্যান্ড।
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে থাকা অর্থের মধ্যে রয়েছে দেশটির ব্যাংকগুলোর কাছে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, আমানতকারীদের জমা অর্থ এবং পুঁজিবাজারে বাংলাদেশের নামে বিনিয়োগ।
তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাখ্যা কিছুটা ভিন্ন, তাদের দাবি এই অর্থের ৯৫ শতাংশেরও বেশি বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, যা মূলত বাণিজ্য সংক্রান্ত লেনদেনের অংশ।
সুইস ব্যাংকগুলোর গোপনীয়তার কারনে অনেকই অর্থ পাচারের জন্য সেখানকার ব্যাংকগুলোকে্ই বেছে নেয়।
জানা গেছে, অর্থপাচার নিয়ে বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বিএফআইইউ সুইজারল্যান্ডের এফআইইউর সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগও করেছিল। কিন্তু ব্যক্তির তালিকা সম্বলিত কোনো তথ্য তারা দেয়নি।
তবে সেময় সুইজারল্যান্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, যদি কেউ অবৈধভাবে অর্থ পাচারের প্রমাণ সরবরাহ করে, তাহলে তারা তথ্য প্রদানে সহযোগিতা করবে।