যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে ‘বন্য আক্রমণ’ বলল ইরান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১২:০৬

তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচির অন্যতম প্রধান স্থাপনা ফোরদো।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলাকে ‘বন্য আক্রমণ’ বলেছে ইরানের পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (এইওআই)। তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার পর শনিবার এক বিবৃতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় সংস্থাটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) হামলার বিষয়ে ‘নির্বিকার’ থেকেছে। এমনকি তাদের ভূমিকা ‘সহপাঠীর মতো’ বলেও উল্লেখ করা হয়।
ইরানের পারমাণবিক সংস্থাটি বলছে, বিশ্ব সম্প্রদায়ের উচিত এই বর্বর হামলার নিন্দা জানানো এবং ইরানের ন্যায্য অবস্থানকে সমর্থন করা।
সংস্থাটির দাবি, শত্রুদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে ইরানের বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা দেশের পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, এ ঘটনায় তারা ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নেবে, যার মধ্যে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণও রয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে দীর্ঘ দিনের ছায়াযুদ্ধ ১৩ জুন একমাত্রিক সংঘাতে রূপ নেয়। ওইদিন ইসরায়েল একযোগে ইরানের কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়।
এর জবাবে ইরানও ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি লক্ষ্যভেদ করে পাল্টা হামলা চালায়, যা দেশটির বিভিন্ন স্থাপনা ও ভবনে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানায়, ইরানের পাল্টা হামলায় অন্তত ২৫ জন নাগরিক নিহত এবং কয়েকশ’ মানুষ আহত হয়েছেন।
অপরদিকে, ইরানের সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যম দাবি করছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানে অন্তত ৬৩৯ জন নিহত এবং এক হাজার ৩০০-এর বেশি আহত হয়েছেন।
দুই দেশের সংঘাতের মাঝে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবে কিনা তা পরিষ্কার ছিল না।
সংঘাতের সময় কানাডায় বৈশ্বিক নেতাদের সম্মেলন থেকে আকস্মিক ফিরে গিয়ে তেহরানের বেসামরিক জনগণকে নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশ দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চার দিন পর তিনি বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং যুদ্ধবিরতির বিষয়ে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।
কয়েকদিন পর ট্রাম্প নিশ্চিত করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা চালিয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমরা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছি এবং সব বিমান নিরাপদে ফিরিয়েছে।”
তবে ইরানের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, হামলা হওয়া স্থাপনাগুলো থেকে আগেই পারমাণবিক সরঞ্জামাদি সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।