হোয়াইট হাউজে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালানোর পর পর দেশটির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউস থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে দলগতভাবে কাজ করেছি, যা অতীতে কখনো হয়নি। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হুমকি প্রতিরোধে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি।”
ভাষণে ইরানকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, “এভাবে চলতে পারে না। হয় শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে, নাহলে ইরানের ওপর আরও অনেক বড় হামলা করা হবে যা গত আটদিনে তারা দেখেনি।”
মধ্যপ্রাচ্যে বহু দিন ধরে চলা ছায়াযুদ্ধ ১৩ জুন সরাসরি সংঘাতে রূপ নেয়। ওইদিন ইসরায়েল একযোগে ইরানের কয়েকটি সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এর জবাবে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে পাল্টা হামলা চালায়, যার ফলে দেশটির বেশ কিছু স্থাপনা ও ভবনে ব্যাপক ক্ষতি হয়।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইরানের হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত এবং কয়েক শ’ মানুষ আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ইরানের সরকারি ও বেসরকারি গণমাধ্যম দাবি করেছে, ইসরায়েলি হামলায় ইরানে কমপক্ষে ৬৩৯ জন নিহত এবং এক হাজার ৩০০ জনের বেশি আহত হয়েছে।
এই সংঘাতের মাঝে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবে কিনা তা নিয়ে অস্পষ্টটা ছিল। তবে কানাডায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে হঠাৎ ফিরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বেসামরিক নাগরিকদের তেহরান ছাড়ার আহ্বান জানান।
চার দিন পর ট্রাম্প বলেন, তিনি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন এবং এখনই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না।
পরে সোমবার ট্রাম্প নিশ্চিত করেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহানে অবস্থিত তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় সফল হামলা চালিয়েছে।
সামাজিক মাধ্যমে ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ এক পোস্টে তিনি লেখেন, “সব বিমান ইরানের আকাশসীমার বাইরে থেকে ফিরে এসেছে।”
পরে হোয়াইট হাউসে স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১০টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “আমাদের সামরিক অভিযান ছিল অসাধারণ সাফল্য। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ সক্ষমতা ধ্বংস করা এবং সন্ত্রাসে মদদ দেওয়া দেশটির পারমাণবিক হুমকি ঠেকানো।”
তিনি ‘অসাধারণ কাজ’ করার জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকেও ধন্যবাদ জানান।