বাংলাভাষী ভারতীয়দের বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে: মমতা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১৫:২৩

পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলাভাষীদের বাংলাদেশি হিসেবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ করেছেন খোদ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতার রাজ্য বিধানসভা প্রাঙ্গনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন অভিযোগই করেন তিনি।
মমতা জানান, উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার ইটাহারের ৩০০-৪০০ জন মানুষকে রাজস্থানের একটি বাড়িতে জোরপূর্বক আটকে রাখা হয়েছে। তাদের অপরাধ- শুধু বাংলায় কথা বলা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তারা বাংলায় কথা বলায়- তাদের বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যদিও তারা ভারতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে জানাব। বাংলায় যারা কথা বলেন, তাদের বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো থেকে বেআইনিভাবে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।”
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলো পশ্চিমবঙ্গের বৈধ নাগরিকদের টার্গেট করে বৈষম্যমূলক আচরণ করছে।
তার ভাষায়, “বাংলায় কথা বললে যদি তা অপরাধ হয়, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও সুভাষ চন্দ্র বসুর ভাষা বাংলাকে নিষিদ্ধ করুক!”
বাংলায় কাজ করতে আসা অন্য রাজ্যের মানুষদের প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, “আমাদের রাজ্যে প্রায় দেড় কোটি পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করেন। অন্যান্য রাজ্য থেকেও বহু মানুষ এখানে কাজ করতে আসেন। সেটাও কি তাহলে অপরাধ?”
মুখ্যমন্ত্রী আরও দাবি করেন, এমন ধরনের ঘটনা রাজস্থান ছাড়াও মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং মহারাষ্ট্রেও ঘটেছে।
এই অভিযোগ ঘিরে জাতীয় রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্কের ঝড় উঠতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এখন দেখার বিষয়, কেন্দ্রীয় সরকার ও সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলোর পক্ষ থেকে কী জবাব আসে।
এর আগে চলতি মাসেই পশ্চিমবঙ্গের ভারতীয় নাগরিক ৩৬ বছর বয়সী মেহবুব শেখকে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়েছে বলে জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার আরও জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ও রাজ্যের কল্যাণ বোর্ড তার নাগরিকত্বের প্রমাণ দেওয়ার পরেও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।