নিহতের সংবাদ মিথ্যা প্রমাণ করে প্রকাশ্যে কায়ানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১৫:২৬

কুদস ফোর্সের কমান্ডার ইসমাইল কায়ানি।
ইরানের বিপ্লবী রক্ষী বাহিনী আইআরজিসির বিশেষায়িত শাখা কুদস ফোর্সের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কায়ানি বেঁচে আছেন এবং সুস্থ রয়েছেন। পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো তার নিহতের সংবাদ প্রকাশের পর- এই প্রথম তাকে প্রকাশ্যে দেখা গেছে।
তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার তেহরানে বিজয় উদযাপনের এক জনসভায় জনসমক্ষে হাজির হয়েছিলেন তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, তিনি হাজারো মানুষের ভিড়ে অংশ নিচ্ছেন এবং উচ্ছ্বসিত জনতা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাচ্ছে।
ইরানের আধা-সরকারি তাসনিম নিউজ এজেন্সি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানায়, “কমান্ডার কায়ানি আজ তেহরানে ‘অপারেশন ডিভাইন ভিক্টরি’ উপলক্ষে জনতার সমাবেশে অংশ নিয়েছেন।”
ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম প্রেস টিভিও ভিডিওটি প্রকাশ করে লিখেছে, “ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইসমাইল কায়ানি, আইআরজিসি কুদস ফোর্সের কমান্ডার, আজ তেহরানে বিজয় উৎসবে অংশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত জনতার অভ্যর্থনা পেয়েছেন।”
এই ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে পশ্চিমা গণমাধ্যমের আগের একটি প্রতিবেদন ভুল প্রমাণিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমস- এর আগে দাবি করেছিল, কায়ানি ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।
১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় একাধিক বিমান হামলা চালায়।
ইসরায়েল দাবি করেছিল, ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে, যদিও তেহরান সে দাবি জোরালোভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।
জবাবে ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। সংঘাত চরমে পৌঁছালে যুক্তরাষ্ট্রও এতে জড়ায় এবং গত রবিবার ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালায়।
টানা ১২ দিন ধরে চলা এই আকাশযুদ্ধের পর অবশেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক ঘোষণায় জানান, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে একটি অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়েছে।
তেহরানের জনসভায় কুদস ফোর্সের প্রধানের সরাসরি উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে, ইরান সরকার সংঘর্ষে নিজেদের বিজয় হিসেবেই দেখাচ্ছে এবং দেশের সামরিক নেতৃত্ব এখনো তার প্রভাব ধরে রেখেছে।