Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

ইরানের জ্বালানি ব্যবসায় জড়িত ভারতীয় নাগরিক-প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫:৩৩

ইরানের জ্বালানি ব্যবসায় জড়িত ভারতীয় নাগরিক-প্রতিষ্ঠানকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ভারতের তিন নাগরিক রয়েছেন।

ইরানের জ্বালানি খাতের ব্যবসায় জড়িত ৫০-এর বেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জাহাজে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের মধ্যে ভারতের কয়েকজন নাগরিক ও প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল (ওএফএসি) এই পদক্ষেপ নিয়েছে। ইরানের তেল এবং তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বিক্রি ও পরিবহনে সহযোগিতা করার অভিযোগে ৫০টিরও বেশি ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

দ্য ইকোনমিক টাইমস শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার তালিকায় ভারতের তিন নাগরিক রয়েছেন। তারা হলেন- বরুন পুলা, সোনিয়া শ্রেষ্ঠা ও আইয়াপ্পন রাজা রয়েছেন।

এক বিজ্ঞপ্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, এসব ব্যক্তিরা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে এমন শিপিং কোম্পানির হয়ে কাজ করেছেন যেগুলো ইরানি জ্বালানি পণ্য পরিবহনে যুক্ত ছিল। তাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে ইরান শত শত কোটি ডলারের তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্য রপ্তানি করতে সক্ষম হয়েছে, যা ইরান সরকারের গুরুত্বপূর্ণ রাজস্ব হিসেবে পরিণত হয়েছে এবং সেই অর্থ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর পেছনে ব্যয় হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বরুন পুলা মার্শাল আইল্যান্ডস ভিত্তিক বার্থা শিপিং ইনকরপোরেটেডের মালিক, যা কোমোরোস পতাকাবাহী জাহাজ পামির পরিচালনা করে। এই জাহাজটি জুলাই ২০২৪ থেকে প্রায় চার মিলিয়ন ব্যারেল ইরানি এলপিজি চীনে পরিবহন করেছে। 

আইয়াপ্পন রাজা ইভি লাইন্স ইনকরপোরেটেডের মালিক, যা পানামা পতাকাবাহী জাহাজ ‘স্যাফায়ার গ্যাস’ পরিচালনা করে এবং এপ্রিল ২০২৫ থেকে চীনে ১০ লাখ ব্যারেলের বেশি ইরানি এলপিজি পরিবহন করেছে। অন্যদিকে, সোনিয়া শ্রেষ্ঠা ভারতের ভেগা স্টার শিপ ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক, যা কোমোরোস পতাকাবাহী জাহাজ নেপটা পরিচালনা করে এবং জানুয়ারি ২০২৫ থেকে পাকিস্তানে ইরানি এলপিজি পরিবহন করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ ও যেকোনো ধরনের স্বার্থ জব্দ করা হবে এবং মার্কিন নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানের দখলে থাকা সম্পদও জব্দযোগ্য হবে। 

কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ৫০ শতাংশ বা তার বেশি অংশ নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্ত ব্যক্তিদের মালিকানায় থাকে, তবে সেই প্রতিষ্ঠানও নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে।

ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, “আমরা ইরানের জ্বালানি রপ্তানি ব্যবস্থার মূল অংশগুলো ধ্বংস করে তাদের নগদ অর্থপ্রবাহে আঘাত হানছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে এই প্রশাসন এমনভাবে কাজ করছে যাতে ইরানি সরকার যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেওয়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে না পারে।”

ওএফএসির নিয়মাবলীর অধীনে নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো সম্পত্তি বা লেনদেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের জন্য নিষিদ্ধ। নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করলে মার্কিন ও বিদেশি উভয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজেদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার আবেদন করতে পারেন।

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫