Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলিদের দেহাবশেষ খুঁজতে হামাসের পাশে মিশর

Icon

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৭:৪০

ইসরায়েলিদের দেহাবশেষ খুঁজতে হামাসের পাশে মিশর

গাজায় ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ উদ্ধারে শনিবার বুলডোজার ও বিশেষজ্ঞ দল পাঠিয়েছে মিশর।

গাজায় যুদ্ধবিরতির স্থায়িত্ব অনেকটাই নির্ভর করছে ইসরায়েলি জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়ার ওপর। এমন পরিস্থিতিতে- ফিলিস্তিনি সংগঠন ও গাজার কার্যত শাসক গোষ্ঠী হামাসকে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে মিশর। 

আরব নিউজে রবিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসকে চাপা পড়া ইসরায়েলিদের মরদেহের সন্ধানে সাহায্য করতে বিশেষজ্ঞ দল ও খননকারী ভারী সরঞ্জাম গাজায় পাঠিয়েছে মিশর। হামাসও গাজার নতুন এলাকায় অনুসন্ধান শুরু করেছে।

হামাসের শীর্ষ আলোচক এবং গাজার প্রধান খলিল আল-হায়া রবিবার ভোরে জানান, তারা গাজায় এখনো থাকা ১৩ জন জিম্মির দেহের সন্ধানে নতুন এলাকাগুলোতে অনুসন্ধান শুরু করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ব্যাপক ধ্বংসের কারণে দেহাবশেষ মাটির গভীরে চাপা পড়ে যাওয়ায় তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই প্রক্রিয়া নিয়ে কঠোর নজর রাখছেন। 

তিনি শনিবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, তিনি ‘খুব কাছ থেকে নজর রাখছেন’ যাতে হামাস আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আরও দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেয়। ট্রাম্প দাবি করেন, কিছু দেহাবশেষ সহজে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও হামাস ‘কোনো এক কারণে’ তা করছে না।\

গত ১০ অক্টোবর স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতির শর্তানুযায়ী, হামাসের যত দ্রুত সম্ভব ইসরায়েলি জিম্মিদের সমস্ত দেহাবশেষ ফেরত দেওয়ার কথা। বিনিময়ে ইসরায়েল প্রতি একজন জিম্মির দেহের জন্য ১৫ জন ফিলিস্তিনির দেহাবশেষ ফেরত দিতে সম্মত হয়েছিল। 

এ পর্যন্ত ইসরায়েল ১৯৫ জন ফিলিস্তিনির দেহ ফেরত দিয়েছে, কিন্তু হামাস মাত্র ১৮ জন জিম্মির দেহ হস্তান্তর করেছে এবং গত পাঁচ দিনে কোনো নতুন দেহাবশেষ ফেরত দিতে পারেনি।

এদিকে, শনিবার রাতে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা চালিয়েছে, যা এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার ঘটল। 

এই হামলায় চারজন আহত হন বলে আওদা হাসপাতাল নিশ্চিত করেছে। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলার পরিকল্পনাকারী ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর জঙ্গিদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল। 

যদিও ইসলামিক জিহাদ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হামাস এই হামলাকে যুদ্ধবিরতি চুক্তির ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ আখ্যা দিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শেষ করার ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে বানচাল করার চেষ্টার অভিযোগ এনেছে।

উল্লেখ্য, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে ইসরায়েল ত্যাগ করেন। এর আগে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও প্রেসিডেন্টের জামাতা জ্যারেড কুশনারসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তা যুদ্ধবিরতি তদারকির জন্য প্রতিষ্ঠিত সমন্বয় কেন্দ্র পরিদর্শনে ইসরায়েলে গিয়েছিলেন। 

এই কেন্দ্রে প্রায় ২০০ মার্কিন সেনা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর সঙ্গে গাজার স্থিতিশীলতা ও পুনর্গঠন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে। 

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫