Logo
×

Follow Us

আন্তর্জাতিক

বার্লিনে প্রথম বৈষম্যবিরোধী আইন পাস

Icon

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২০, ১০:৪২

বার্লিনে প্রথম বৈষম্যবিরোধী আইন পাস

ছবি: ডয়চে ভেলে

জার্মানির রাজধানী বার্লিন নগররাজ্যে  প্রথম বৈষম্যবিরোধী আইন পাস হয়েছে।

পাস হওয়া নতুন আইন অনুযায়ী, কারো চামড়ার রঙ, লিঙ্গ কিংবা অন্য কোনো কারণে পুলিশসহ কোনো কর্তৃপক্ষ বৈষম্যমূলক আচরণ করতে পারবে না। এরফলে নগর পরিচালন পদ্ধতিতে যে বর্ণবাদ রয়েছে এ আইনে তা বন্ধ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আইনটিতে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, পুলিশ ও পাবলিক স্কুলসহ নগর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে যেকোনো সেবাদান কর্তৃপক্ষ যেন কেউ কোত্থেকে এসেছেন, চামড়ার রঙ কী, লিঙ্গ, ধর্ম, শারীরিক ও মানসিক বৈকল্য, চিন্তাচেতনা, বয়স ও যৌন আকর্ষণ- এসব বিবেচনায় না আনেন।

এছাড়া বলা হয়েছে, কেউ জার্মান ভাষা কতটা পারেন, কোনো অসুস্থতায় ভুগছেন কিনা, তাদের আয়, শিক্ষা ও পেশার পরিচয় দিয়েও যেন বৈষম্যের শিকার না হন। আর যদি কেউ এসব বৈষম্যের শিকার হন তাহলে তারা ক্ষতিপূরণের আবেদন করতে পারবেন। কর্তৃপক্ষও সেখানে তাদের যুক্তি তুলে ধরার সুযোগ পাবেন।

আইনটি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই কাজ হচ্ছিল। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে কালোদের প্রতি পুলিশের বৈষম্যমূলক আচরণ নিয়ে জার্মানিসহ সারাবিশ্বে ঘটনাটি নিয়ে প্রতিবাদ বিক্ষোভের মাঝে বার্লিন এই আইনটি পাস করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

পুরো জার্মানিতে ২০০৬ সাল থেকেই জেনারেল ইকুয়াল ট্রিটমেন্ট অ্যাক্ট (এজিজি) চালু রয়েছে। এই আইনেও সবার প্রতি সমতা বিধানের কথা বলা আছে। তবে নগররাজ্য বার্লিনের আইনটি এর চেয়েও একধাপ এগিয়ে।

রাষ্ট্রীয় আইনটি মূলত ব্যক্তি পর্যায়ে কেউ যেন কোনো বৈষম্যের শিকার না হন সেজন্য করা। সরকারি পর্যায়ে এর এখতিয়ার নেই। অর্থাৎ সরকারি আইন যেখানে কার্যকর, সেখানে এই আইন চলবে না। গত বছর ফেডারেল অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন এজেন্সি প্রকাশিত একটি গাইডে এমনভাবেই এর ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছিল।

তবে এজেন্সি সেই গাইডে এ-ও লিখেছে, সংবিধানের মৌলিক আইনগুলো দ্বারা নাগরিকরা যেন রাষ্ট্র কর্তৃক বৈষম্যর শিকার না হন, সেই সুরক্ষা দেয়া আছে।

তবে মধ্যবামপন্থি সামাজিক গণতন্ত্রী দল ও বামপন্থি সবুজ দল নিয়ে গড়া বার্লিনের জোট সরকার মনে করে, আগের আইনগুলোতে ফাঁক রয়েছে এবং নতুন পাস হওয়া আইনটি সেটি পূরণ করবে।

তবে আইনটি পাস করা সহজ ছিল না। কেন্দ্র থেকে বাধা এসেছিল, বিশেষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট জেহোফার পুলিশ ইউনিয়নের যুক্তিকে সমর্থন দিয়ে বলেছিলেন, এই আইন কর্তৃপক্ষের ওপর শুধু শুধু বাড়তি চাপ তৈরি করবে। আমাদের পুলিশের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং তাদেরকে একটা সাধারণ সন্দেহের মধ্যে ঠেলে দেয়া ঠিক হবে না।

তবে বার্লিন রাজ্যের ন্যায়মন্ত্রী ও সবুজ দলের নেতা ডির্ক ব্যেহরেন্ডট অন্য একটি সংবাদ মাধ্যমে আইনটির সমর্থনে বলেন, এখানে পুলিশ বর্ণ বা লিঙ্গ পরিচয়ের ওপর ভর করে যে পক্ষপাতমূলক আচরণ করে, তার ওপর দৃষ্টিপাত করা হয়েছে৷

গত মার্চে জার্মানিতে বৈষম্যবিরোধী আরো পদক্ষেপ নেবার জন্য কাউন্সিল অব ইউরোপ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছিল। -ডয়চে ভেলে

Logo

সম্পাদক ও প্রকাশক: ইলিয়াস উদ্দিন পলাশ

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ফেয়ার দিয়া ১১/৮/ই, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট (লেভেল-৮), বক্স কালভার্ট রোড, পান্থপথ, ঢাকা ১২০৫