পুলিশের হেফাজতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার জেরে আলোচনায় আসা যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিসের স্থানীয় কাউন্সিল সদস্যরা সেখানকার পুলিশ বিভাগই ভেঙে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 

এটিকে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলমান বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের বড় অর্জন মনে করা হচ্ছে।

স্থানীয় কাউন্সিলের ১৩ সদস্যের মধ্যে নয়জনই শহরে 'জননিরাপত্তার একটি নতুন মডেলে'র কথা বলছেন। যা সত্যিকার অর্থেই কমিউনিটিকে নিরাপদ রাখবে।

তবে মেয়র জ্যাকব ফ্রে আগে এ উদ্যোগের বিরোধিতা করে বিক্ষোভকারীদের দুয়ো শুনেছেন।

এদিকে পরিস্থিতি কিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করায় গতকাল রবিবার (৭ জুন) নিরাপত্তামূলক কিছু পদক্ষেপ প্রত্যাহার করা হয়েছে। নিউইয়র্কে এক সপ্তাহ ধরে চলা কারফিউ তুলে নেয়া হয়েছে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ওয়াশিংটন ডিসি থেকে তিনি ন্যাশনাল গার্ডকে তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

অপরদিকে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও রিপাবলিকান পার্টির কলিন পাওয়েল বলেছেন, সামনের নির্বাচনে তিনি ট্রাম্পকে ভোটই দেবেন না।

ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডকে ঘিরে গড়ে ওঠা বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনকে যেভাবে মোকাবিলা করছেন ট্রাম্প, তার কঠোর সমালোচনা করে  পাওয়েল বলেছেন, প্রেসিডেন্ট সংবিধান থেকে সরে যাচ্ছেন।

ট্রাম্পও যথারীতি এর জবাব দিয়ে পাওয়েলকে 'অত্যন্ত অতিমূল্যায়িত' বলে খোঁচা দিয়েছেন।

পাওয়েল সম্ভবত একমাত্র আফ্রিকান-আমেরিকান যিনি যুক্তরাষ্ট্রের জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান ছিলেন। বিক্ষোভ দমনে সেনা নামানোর যে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প দেশটির সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে এ নিয়ে যে সমালোচনা শুরু হয়েছে তাতে সর্বশেষ সংযোজন পাওয়েল।

টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে পাওয়েল বলেছেন, আমাদের একটি সংবিধান আছে ও আমাদের সেটি অনুসরণ করতে হবে। প্রেসিডেন্ট ক্রমশ তা থেকে দূরে সরছেন। ট্রাম্প যেভাবে কথা বলছেন মার্কিন গণতন্ত্রের জন্য বিপজ্জনক। আমি নিঃসন্দেহে কোনোভাবেই তাকে সমর্থন করতে পারি না।

সাবেক এই চার তারকা জেনারেল ও উদারপন্থী রিপাবলিকান হিসেবে পরিচিত পাওয়েল ২০১৬ সালের নির্বাচনেও ট্রাম্পকে সমর্থন দেননি।

টুইটারে দেয়া প্রতিক্রিয়ায়পাওয়েলকে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধে জড়ানোর জন্য দায়ী করেছেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, কলিন পাওয়েল বলেননি ইরাকে মানববিধ্বংসী অস্ত্র আছে? তাদের ছিলো না কিন্তু আমরা যুদ্ধে জড়িয়েছি।