যুদ্ধের প্রস্তুতি, সেনাপ্রধান ও ৪ মন্ত্রীর সঙ্গে মোদির বৈঠক

ডেস্ক রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৭ জুন ২০২০, ১৩:৩১

ভারত-চীন সীমান্তে উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছে। সোমবার দুই দেশের সেনার মধ্যে পারস্পরিক সংঘর্ষে প্রাণ হারাতে হয়েছে ২০ জন ভারতীয় সেনাকে। যেভাবে ক্রমশই এই সীমান্ত সমস্যা জটিল আকার ধারণ করছে তাতে উদ্বিগ্ন মোদি সরকার।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাত ১০ টার সময় লাদাখ পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নারাভানের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
গত পাঁচ দশকে বরাবরই চীনের ডি-ফ্যাক্টো সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমস্যা ছিলো। এবার যেন ক্রমশই সেই সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে।
এদিকে লাদাখে চীনা সেনার ওই হামলার ঘটনায় আরো ৪ ভারতীয় সেনার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বুধবার সকালে সেনাবাহিনীর একটি বিবৃতিতে প্রথমে একজন কর্নেল ও দুই ভারতীয় সেনার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং উভয় পক্ষেই বেশ কিছু সেনা হতাহত হয়েছে একথা বলা হয়। পরে আবার নতুন এক বিবৃতিতে জানানো হয় যে, আশঙ্কাজনক আরো ১৭ জনেরও মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে যে, ক্ষতি এড়াতে পারেনি চীনও। ওই সংঘর্ষে সেদেশে হতাহত কমপক্ষে ৪৩ সেনা। যদিও চীনের সেনা সূত্র থেকে এব্যাপারে কোনো নিশ্চিত বিবৃতি দেয়নি।
ভারতের তরফ থেকে এই সংঘর্ষের জন্যে চীনকেই দায়ী করা হয়েছে। চীনা সেনারা একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট দায়িত্বশীল আচরণই করে এসেছে ভারত ৷ ওই এলাকায় যে কার্যকলাপ করা হয়েছে, তার সবটাই ভারতীয় এলাকার মধ্যে করা হয়েছে৷ চিনের থেকেও আমরা একইরকম ব্যবহারের আশা রাখি আমরা৷
ভারত সীমান্তে শান্তি বজায় রাখা এবং যে কোনো সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিশ্বাসী ৷ তবে একই সঙ্গে ভারতের সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা বজায় রাখার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। ওদিকে চীন আবার ভারতের এই দাবি খণ্ডন করে পাল্টা দাবি করেছে যে ভারতীয় সেনারাই নাকি সীমান্ত অতিক্রম করে ওই দেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে।
এদিকে গোটা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। চীনের সঙ্গে ট্রাম্পের দেশের বেশ কিছু বিষয়ে মতবিরোধ ঘটলেও ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রেখেই চলতে চাইছে আমেরিকা। তাই পরিস্থিতি যাতে শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়, তারই প্রত্যাশা করছে তারা।
রাষ্ট্রসংঘও ভারত ও চীন, দুই দেশকেই সর্বোচ্চ সংযম রাখার আহ্বান জানিয়েছে। -এনডিটিভি